|
|
|
|
গ্রিড বিপর্যয়ে কড়া শাস্তির চিন্তায় কেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বিদ্যুৎ চুরির জন্য ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে সাজার বিধান ছিলই। কিন্তু গ্রিড থেকে রাতারাতি বেশি বিদ্যুৎ টেনে নিয়ে গোটা দেশকে বিপর্যয়ে ফেলার দায়ে এ বার কিছু রাজ্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে চাইছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলির কথায়, “গ্রিড থেকে কোনও রাজ্য বেশি বিদ্যুৎ টেনে নিলে কঠোর জরিমানা ধার্য করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। এমনকী সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যসচিবের হাজতবাসও হতে পারে।”
প্রথমে উত্তরপ্রদেশ ও পরে হরিয়ানা বেশি বিদ্যুৎ টেনে নেওয়ায় গত ৩০ এবং ৩১ জুলাই বড় ধরনের গ্রিড বিপর্যয় ঘটে অন্ধকারে ডুবে যায় অর্ধেক দেশ। প্রথম দিন বিপর্যয় কেবল উত্তরের গ্রিডে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরের দিন পূর্ব,
|
বীরাপ্পা মইলি |
উত্তর-পূর্ব এবং পশ্চিমাঞ্চলের গ্রিড আক্রান্ত হয়। পরিণামে ২১টি রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়ে। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। একটি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গেই মইলি দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি ও জরিমানার হুমকি দেন।
তবে বিদ্যুৎমন্ত্রী এ-ও স্বীকার করেন যে, শুধুমাত্র একটি বা দু’টি রাজ্য বেশি বিদ্যুৎ টেনে নেওয়ার কারণেই গ্রিড বিপর্যয় হয়নি। এক দিকে উত্তরের গ্রিড থেকে দু’টি রাজ্য বেশি বিদ্যুৎ টেনেছে, অন্য দিকে পশ্চিমের গ্রিডের মাধ্যমে বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ পাঠানো হয়েছে। সেই সম্মিলিত কারণেই দেশ জুড়ে গ্রিড বিপর্যয় হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি কী বলছে, সেই রিপোর্ট মইলি অবশ্য পুরোপরি প্রকাশ করেননি। কিন্তু তাঁর মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে পাওয়ার গ্রিডের ব্যবস্থাপনার ত্রুটিও সমস্যার অন্যতম কারণ। কমিটির মতে, গ্রিডের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন আশু প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ‘স্মার্ট গ্রিড’ ব্যবস্থা সমস্যা সমাধানের একটা উপায় হতে পারে। এর মাধ্যমে সরবরাহ নেটওয়ার্কের বিভিন্ন স্থানে ‘স্মার্ট মিটার’ লাগিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। তার আগে রাজ্যস্তরে কিছু বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা ইতিমধ্যে জি আই এস (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম) মিটার লাগাতে শুরু করেছে। যেমন পশ্চিমবঙ্গের ছোট-বড় ৬২টি শহরে এই ধরনের মিটার লাগানো হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৪২টি শহরে এই মিটার লাগানো হবে। এর ফলে বিদ্যুতের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ভারসাম্য রাখা সহজ হবে।
মন্ত্রকের মতে, গোটা দেশে স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থা রূপায়ণ করতে আনুমানিক ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। তাই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছু রাজ্যে পাইলট প্রোজেক্ট শুরু করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। |
|
|
|
|
|