ঈদ ও পুজোর মুখে জেলাশাসকের বাংলোর বিপরীতের জাহান পীরের মাজার লাগোয়া ২১টি দোকান ভেঙে দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ল মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভা। কংগ্রেস ও তৃণমূল পরিচালিত ওই পুর কর্তৃপক্ষ দোকান ভাঙায় আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল যুব কংগ্রেস। সোমবার তৃণমূল যুব কর্মী সমর্থকরা জেলাশাসকের বাংলো ও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানয় ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিলও বের করেন তাঁরা। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র দাবি করেছেন, “বিক্ষোভকারীরা তৃণমূলের কেউ নয়। ওই জায়গা থেকে কোনও ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করা হয়নি। একই ছাদের তলায় সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর-সহ চারটি অফিস করা হচ্ছে। অফিস বিল্ডিং তৈরি হওয়ার পরেই ব্যবসায়ীদের দোকান ফিরিয়ে দেওয়া হবে।” |
এই ব্যাপারে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি বিশ্বজিত রায়ের বক্তব্য, উচ্ছেদ জরুরি হলে তো সেটা পুজোর পরে করা যেত। তাঁর অভিযোগ, পুজোর সামনে দোকানঘর উচ্ছেদ করে ২১টি পরিবারকে বিপাকে ফেলেছেন। এর প্রতিবাদ করছি। যে ২১ জন ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করা হয়েছে তাদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।” পুরসভার বিরুদ্ধে যুব তৃণমূলের ওই আন্দোলনে ক্ষুব্ধ ইংরেজবাজার পুরসভার কংগ্রেসি চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তিনি বলেন, “যাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে, সবাইকে ওই জায়গায় দোকানঘর দেওয়া হবে।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে ওই এলাকায় দোকান উচ্ছেদ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ২১ জন ব্যবসায়ী ব্যবসা করছিলেন। মাস দেড়েক আগে তৃণমূলের জেলা সভাপতি, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান, পুরসভা যৌথ বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় ওই জায়গায় একই ছাদের তলায় সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর, ওয়াকফ বোর্ড, মাদ্রাসা ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিস হবে। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঁচতলা ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। সেই ভবনের নিচে ২১ টি দোকানঘর করে ৬ মাসের মধ্যে ওই ব্যবসায়ীদের পুর্নবাসন দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল আশিস কুন্ডু বলেন, “তৃণমূলের জেলা সভাপতির উপস্থিতিতে এই ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে যুব তৃণমূল কী করে পুরসভার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে জানি না।” |