দ্বন্দ্ব মুছে শ্রমিক সংগঠন চালাতে নির্দেশ মমতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’ অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিলেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় নিজের কক্ষে আইএনটিটিইউসি-র বিবদমান গোষ্ঠীগুলির নেতা-নেত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বর্ষীয়ান শ্রমিক নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেন, শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর উপস্থিতিতে মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দু’টি-তিনটি করে কমিটি রাখা চলবে না। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শোভনদেব-দোলা পৃথক দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে সংগঠনের কাজকর্মে প্রভাব পড়ছিল। এতে দলের ভাবমূর্তি ‘ক্ষুণ্ণ’ হচ্ছে, তা বুঝিয়ে মমতা নির্দেশ দেন, আলোচনার মাধ্যমে ‘দ্বন্দ্ব’ মিটিয়ে যৌথভাবে সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করতে হবে। তৃণমূল সূত্রের খবর, অন্তর্দ্বন্দ্ব বন্ধ করতে নেতাদের নির্দেশ দেন মমতা। পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ মিটিয়ে সংগঠনের কাজ ত্বরান্বিত করতেও বলেছেন তিনি। সাংগঠনিক সিদ্ধান্তও যৌথভাবে নেওয়ারও নির্দেশে দেন মমতা। কারও কাজের উপর অন্য কেউ যাতে হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সে জন্য সংগঠনের নেতাদের দায়িত্বও ভাগ করে দেন মমতা। বলে দেন, জাতীয় স্তরে ট্রেড ইউনিয়নে নেতৃত্ব দেবেন প্রাক্তন নকশাল নেতা এবং সিঙ্গুর আন্দোলনে তাঁর সহযোদ্ধা প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রতবাবু। রাজ্য স্তরে ট্রেড ইউনিয়ন পরিচালনা করবেন দোলা। ঠিক হয়, সংগঠনের গঠনতন্ত্র তৈরি করবে জাতীয় কমিটি। আর রাজ্যের নতুন কোনও ইউনিয়নের অনুমাদনের জন্য রাজ্য কমিটি সুপারিশ করলে সেই সুপারিশ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় কমিটি। পাশাপাশি, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মমতা দলের কর্মচারী সংগঠনগুলি দেখার ভার দেন। শ্রমিক সংগঠনের জন্য একটি কোর কমিটিও এ দিন গড়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। দলের শ্রমিক সংগঠনের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেববাবু এবং শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দুবাবু সেই কমিটিতে থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
|
শিল্পের পরে স্বাস্থ্য, শিক্ষা নিয়ে মন্ত্রী-কমিটি রাজ্যে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অগ্রাধিকারের তালিকায় উপরের দিকে আছে। এ বার স্বাস্থ্য ও শিক্ষা তো বটেই, সেই সঙ্গে পুষ্টি ও খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কাজকর্মের গুণগত মান বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১১ জন মন্ত্রীকে নিয়ে তৈরি হল রাজ্য মন্ত্রিসভার নতুন একটি স্থায়ী কমিটি। স্বাস্থ্য ছাড়াও মানবসম্পদ উন্নয়ন (বিশেষত কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি), খাদ্য নিরাপত্তা এবং মহিলা ও শিশুদের পুষ্টি বাড়ানোর কাজের ব্যাপারে ওই কমিটি কার্যত তদারককারীর ভূমিকা নেবে। পরামর্শ দেবে। মুখ্যসচিব সমর ঘোষের স্বাক্ষরিত সরকারি নির্দেশে রাজ্য মন্ত্রিসভার নতুন স্থায়ী কমিটি তৈরির উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তাতে সরকার বলেছে, স্থায়ী কমিটি স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি (যেমন, অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্প) ও মানবসম্পদ উন্নয়ন (দক্ষতা বৃদ্ধি)-এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রস্তাব ও সমস্যা খতিয়ে দেখবে। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এত দিন মুখ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে রাজ্য মন্ত্রিসভার স্থায়ী কমিটি ছিল একটিই। সেটি শিল্প, পরিকাঠামো ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত। শিল্পোন্নয়ন ও রাজ্যে শিল্প বিনিয়োগ টানার কাজে গতিসঞ্চারের জন্যই শিল্প, অর্থের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রীদের নিয়ে ওই কমিটি গড়া হয়েছিল। এ বার স্বাস্থ্য, পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের কাজ জোরদার করার জন্য তৈরি করা হল মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় স্থায়ী কমিটি। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া নতুন স্থায়ী কমিটিতে আর যে-১০ জন মন্ত্রীকে রাখা হয়েছে, তাঁরা হলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, স্বনিযুক্তি মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায় ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকেও বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে স্থায়ী কমিটিতে রাখা হচ্ছে।
|
প্রণব আসছেন ১৫ সেপ্টেম্বর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রথম পশ্চিমবঙ্গে আসছেন আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। তবে সে-দিন রাষ্ট্রপতির কলকাতায় আসার কোনও কর্মসূচি এখনও পর্যন্ত নেই। ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি খড়্গপুরে যাবেন আইআইটি-র একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সরকারি সূত্রে সোমবার এ কথা জানা গিয়েছে। দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে রাষ্ট্রপতি যাবেন কলাইকুন্ডা। সেখান থেকে যাবেন খড়্গপুর আইআইটি-তে। |