একটি ট্রেলারের ধাক্কায় গুঁড়িয়ে গেল একটি পুলিশ-চৌকি। জখম হলেন চৌকিতে থাকা তিন পুলিশকর্মী। রবিবার রাতে গোপালনগরের কদমতলার কাছে ওই দুর্ঘটনায় জখম পুলিশকর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ট্রেলার-চালককে। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ-চাকদহ সড়ক ধরে ট্রাকে করে গরু পাচার বন্ধ করতে নজরদারির জন্য সম্প্রতি ওই সড়কের ধারে পুলিশ-চৌকিটি তৈরি করা হয়। তা ছাড়া, রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণের জন্য বসানো হয় গার্ডরেল। রবিবার রাত ৯টা নাগাদ ট্রেলারটি প্রথমে একটি গার্ডরেলে, তার পরে রাস্তার ধারের ওই চৌকিতে ধাক্কা মারে। দুই পথচারী অল্প জখম হন। চৌকিটি ভেঙে পড়ায় জখম হন গোপালনগর থানার এএসআই মহম্মদ আব্দুল রেজ্জাক এবং পুলিশকর্মী কালিদাস বিশ্বাস ও বিজন মজুমদার। কালিদাসবাবুকে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে এবং বাকি দু’জনকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। |
দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে ধরে ফেলেন ট্রেলার-চালক, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রাধেশ্যাম সিংহকে। রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এর পিছনে গরু পাচারকারীদের কোনও চক্রান্ত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের দাবি, ওই রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাকে করে বনগাঁ এবং গাইঘাটা হয়ে গরু পাচার হচ্ছে বাংলাদেশে। রাস্তার ধারে পুলিশ-চৌকি এবং গার্ডরেল বসানোর ফলে এখন গরু পাচার অনেকটাই কমেছে। ওই চৌকি সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁর উপরে পাচারকারীরা পরোক্ষে চাপ সৃষ্টি করছে এবং তাঁকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের। তিনি বলেন, “স্থানীয় কিছু মানুষ মনে করছেন, চৌকিটি ট্রেলার দিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পাচারকারীরা। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। কোনও পরিস্থিতিতেই ওই চৌকি সরানো হবে না।”
|