|
|
|
|
বারাসতের স্কুলে বচসা, জখম ৬ ছাত্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
স্কুলের মধ্যেই কটূক্তি নিয়ে গণ্ডগোলের শুরু। তার জেরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হল একাদশ শ্রেণির ছয় ছাত্র। তাদের মধ্যে দু’জনকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলেরই দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত থানার অশ্বিনীপল্লি হাইস্কুলে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ ঘটনার সূত্রপাত। পুলিশ জানিয়েছে, সেই সময়ে স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে বাইরের কিছু ছেলের সঙ্গে কথা বলছিল স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র জয় দাস ও তার দাদা দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া বিজয় দাস। অভিযোগ, তখন একাদশ শ্রেণির আরও দুই ছাত্র স্কুল থেকে বেরোতেই তাদের কটুক্তি করে জয় ও বিজয়। ওই ছাত্রেরা প্রতিবাদ করলে বচসা বাধে। অভিযোগ, এর পরেই ওই দুই ভাই কিছু বহিরাগত ছেলেদের সঙ্গে এনে স্কুল থেকে বার করে নিয়ে যায় একাদশ শ্রেণির ছয় ছাত্রকে। সু্ব্রত দাস নামে এক ছাত্রের অভিযোগ, “ওদের হাতে ছুরি-ভোজালি ছিল। তা দিয়ে মারতে থাকে আমাদের। আমার হাত কেটে যায়।” আহতদের বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চার জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে মোজেম আলি ও আমির খান নামে দুই ছাত্রের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরেই স্কুলে বিক্ষোভ দেখায় কিছু ছাত্র ও অভিভাবকেরা। খবর দেওয়া হয় বারাসত থানায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে আহত ছাত্রেরা। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
স্কুল থেকে দুষ্কৃতীরা ছাত্রদের নিয়ে গেলেও কেন পুলিশকে কিছু জানালেন না শিক্ষকেরা? এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শ্যামসুন্দর পাল বলেন, “ঘটনাটি স্কুলের বাইরের। আমরা শুনেছি। তবে আহতেরা আমাদের ছাত্র।” তাঁর বক্তব্য, যাদের মধ্যে গোলমাল হয়, তারা সকলেই ঘটনার সময়ে ক্লাসের বাইরে ছিল। সমস্যা বাড়তেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তবে ওই স্কুলেরই শিক্ষিকাদের অভিযোগ, স্কুলের চারদিকে কোনও প্রাচীর নেই। মাঝেমধ্যেই তাই বাইরের ছেলেরা স্কুলে ঢুকে যায়। স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে বাইরের কিছু ছেলে ছাত্রীদের কটূক্তি করে। এ ব্যাপারে প্রধানশিক্ষককে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। প্রধানশিক্ষক অবশ্য বলেছেন, “প্রাচীর দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই।” |
|
|
|
|
|