এক বছরে কোচবিহারে ৭৭০০০এর বেশি সদস্য কমেছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফে। ১১-১২ আগস্ট কোচবিহারের মাথাভাঙায় অনুষ্ঠিত সংগঠনের জেলা সম্মেলন উপলক্ষে প্রতিনিধিদের মধ্যে বিলি করা খসড়া প্রতিবেদনে ওই ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১০ সালে জেলায় ডিওয়াইএফের সদস্য সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ২৫০৩০ জন। ২০১১-এ ওই সদস্য কমে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৭১১০। প্রতিবেদনে ওই ঘাটতি মেটানোর ব্যাপারে জোর দিয়েছেন নেতৃত্ব। প্রতিবেদনের ২০ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, ‘সদস্যপদ সংগ্রহ করা সংগঠনের প্রাথমিক কাজ। এলাকার যুব সমাজকে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি রাজনীতির অভিমুখে সংগঠনের পতাকাতলে আনতে সদস্যপদ অভিযানের মধ্যে দিয়ে সংগঠিত করা। সদস্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে এলাকার যুবদের মধ্যে কতটা আমাদের ভিত্তি তার প্রাথমিক অবস্থা বুঝতে সাহায্য করা। এই কাজে ঘাটতি আছে। প্রতিবেদনেই রয়েছে, কোচবিহারে সংগঠনের ১২টি জোনের মধ্যে দিনহাটা-১ এলাকায় সদস্য কমেছে ২১ হাজার। ২০১১ সালে ওই এলাকায় ৩৬০০০ সদস্য ছিলেন। ২০১১ সালে তা কমে হয়েছে ১৫০০০। তুফানগঞ্জ জোনালে সদস্য কমেছে ১৪০০০। ২০১০ সালে ওই এলাকায় ৩৪০০০ থাকলেও পরের বছর কমে হয়েছে ২০০০০। বক্সিরহাট জোনালে ওই এক বছরের ব্যবধানে সদস্য সংখ্যা ১৩০০০ থেকে হয়েছে ৫০৩০। কোচবিহার উত্তর ও দক্ষিণ জোনালে ওই সদস্য সংখ্যা ৩১০০০ থেকে কমে ২৬০৫০০ জন ও ২১০০০ থেকে কমে ৮০১০ জনে দাঁড়িয়েছে। শীতলখুচিতে সদস্য সংখ্যা ১৪৫৩০ জনের থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৫৮৭০ জন। নিউ মাথাভাঙায় ১৫০০০ থেকে কমে ৬১২০। মেখলিগঞ্জে ১২০০০ থেকে সদস্য কমে হয়েছে ৯০২০০ জন। হলদিবাড়িতে ২০১০ সালে সদস্য ছিল ১২০০০। ২০১১ সালে তা কমে হয়েছে ১০০০০। প্রতিবেদনে বামেদের দখলে থাকা জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এ দিন শেষ হওয়া সম্মেলনে জেলা সম্পাদক ও সভাপতি পদে নতুন মুখ এসেছে। অমিত দত্ত সম্পাদক ও দিবাকর সিংহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ৬৩ জন। বিদায়ী জেলা সম্পাদক বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী ৪০ বছরের বেশি কেউই সংগঠনে থাকতে পারেন না। তাই সম্পাদক পদে নতুন মুখ আনা হয়েছে। |