‘সুপার ইম্পোজ’ করে এক বধূর ‘আপত্তিকর’ ছবি তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মোবাইলে এমএমএস করার অভিযোগ উঠল আধা-সামরিক বাহিনীর এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার ফুলঝোড় এলাকার ঘটনা। রবিবার তা জানাজানি হতেই বধূর বাপের বাড়ির প্রতিবেশী তপনকুমার দাস নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন এলাকাবাসী। তপনবাবু অভিযোগ না মানলেও ঘটনায় ‘জড়িত’ এক চিত্রগ্রাহক স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান, বধূটির ছবি তিনি তপনবাবুকে দিয়েছেন। তপনবাবু এবং ওই চিত্রগ্রাহককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ চলে যেতেই তপনবাবুর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় জনতা। তাঁর স্ত্রী-কে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলঝোড় এলাকার বাসিন্দা বধূটির বাবার সঙ্গে একটি পাঁচিল দেওয়া নিয়ে তপনবাবুর পুরনো বিবাদ রয়েছে। এ দিন সকালে বধূটির বাবা স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের কাছে ওই ‘আপত্তিকর’ এমএমএস (মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং সার্ভিস) নিয়ে তপনবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। ওই ব্যক্তির কথায়, “তপনবাবু এ ভাবে আমার সর্বনাশ করবেন ভাবিনি!” অনিল শর্মা নামে স্থানীয় এক চিত্রগ্রাহক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলেও এলাকাবাসীর কাছে বধূটির বাবা সন্দেহ প্রকাশ করেন। এর পরেই তপনবাবু এবং অনিলবাবুকে নিয়ে আসা হয় তৃণমূলের স্থানীয় একটি কার্যালয়ে। সেখানে শুরু হয় জেরা। তপনবাবু অবশ্য আগাগোড়া অভিযোগ অস্বীকার করেন। খবর যায় পুলিশে।
পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে চলে যাওয়ার পরে জনতা তপনবাবুর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তপনবাবুর স্ত্রী তপতীদেবীর দাবি, “এমএমএসের ব্যাপারে কিছু জানি না। বিনা দোষে আমার স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, “পুলিশ চলে যেতেই কয়েকজন বাড়িতে ঢুকে আমাকে মারতে শুরু করে। ভাঙচুর চালায়।” পুলিশ জানিয়েছে, এমএসএসের ব্যাপারে বধূটির পরিবার রবিবার রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এ ক্ষেত্রে তারা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ‘সাইবার ক্রাইম’-এর মামলা দায়ের করবে। তপনবাবুর পরিবারের তরফে করা হামলার অভিযোগেরও তদন্ত হবে।
বধূটির শ্বশুর বলেন, “পরিবারের সদস্যেরা এমএমএস দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তবে আমরা বুঝতে পেরেছি, ওটা সুপার ইম্পোজ করে তৈরি। বেয়াইকে সে কথা জানিয়ে আশ্বস্ত করেছি।” |