দেবলীনাকে প্রথম শ্রেণির বন্দি করার আর্জি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিচারাধীন বন্দি দেবলীনা চক্রবর্তীকে প্রথম শ্রেণির বন্দি হিসেবে ঘোষণা করার জন্য শুক্রবার আলিপুর আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তকারী অফিসার ও জেল সুপারের রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। প্রথম শ্রেণির বন্দির স্বীকৃতি দিলে জেলে বিশেষ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। দক্ষিণ শহরতলির একটি মামলায় দেবলীনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন ইউএপিএ-তে অভিযোগ এনেছে সিআইডি। মূল মামলাটি ২০১০ সালের। ওই মামলায় মধুসূদন মণ্ডল-সহ পাঁচ মাওবাদীর বিচার চলছে দায়রা আদালতে। পাঁচ অভিযুক্তই প্রথম শ্রেণির বন্দি হিসেবে বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন। কলকাতার দক্ষিণ শহরতলি থেকে মধুসূদনদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার বেশ কিছু দিন পরে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয় দেবলীনাকে। অভিযুক্ত দেবলীনার আইনজীবী শঙ্কর মুখোপাধ্যায় এ দিন তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদন জানান। সরকার পক্ষ থেকে বলা হয়, এই মামলার তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে, পুলিশ শীঘ্রই দেবলীনার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জশিট দেবে। এই অবস্থায় তাঁকে জামিন দেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না। আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে অভিযুক্তকে ২৪ অগস্ট পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। তার পরে দেবলীনাকে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। শঙ্করবাবু এ দিন আদালতে তাঁর আর্জিতে জানান, দেবলীনা গত ১২ এপ্রিল থেকে হাজতে রয়েছেন। আদালত তাঁর মতো অনেক অভিযুক্তকেই প্রথম শ্রেণির বন্দি হিসেবে ঘোষণা করেছে। সুতরাং তাঁকে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দিতে অসুবিধা কোথায়? ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই মামলার তদন্তকারী এবং জেল সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট চায়।
|
ফলের আশা না করে শুধু কাজ করে যাওয়ার ‘শিক্ষা’ তিনি পেয়েছেন ভগবদগীতা থেকে। শ্রীকৃষ্ণের বাণী এ ভাবেই তাঁর জীবনে ‘আদর্শ’ হয়ে উঠেছে। শুক্রবার নিজের ফেসবুকে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এ দিনের ফেসবুকের উপলক্ষ জন্মাষ্টমী। তাঁর শুভেচ্ছাবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “ভগবদগীতায় ভগবান কৃষ্ণের বাণী থেকে আমরা যে শিক্ষা পেয়েছি তা হল সত্যের পথে চলা, অন্যায়-অবিচারের কাছে মাথা নত না করা এবং নিষ্কাম কর্ম করে যাওয়া। মানুষ যদি এই নীতিগুলি মেনে চলে, পৃথিবী তবে আরও বেশি বাসযোগ্য হবে।” |