|
|
|
|
|
|
 |
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
কালো কী ভাবে লাল হইল |
বইপোকা |
‘তেইশ পৃষ্ঠা, পনেরোটি কবিতা, এই রবীন্দ্রনাথের শেষ লেখা। মলাটের লেখাটি টুকটুকে লাল আর নয়, এ-বইয়ে কালো রং মানিয়েছে।’ লিখিয়াছিলেন বুদ্ধদেব বসু, ‘কবিতা’ পত্রিকার ১৯৪১-এর এক সংখ্যায়। ২২ শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু, ভাদ্রে প্রথম প্রকাশিত হইল শেষ লেখা। সেই প্রথম সংস্করণ এবং তার পরে বহু সংস্করণে বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগের প্রচলিত রীতির ব্যতিক্রম হিসাবেই প্রচ্ছদে গ্রন্থনাম এবং কবির নাম লাল (ইন্ডিয়ান রেড) কালিতে নহে, ছাপা হইত কালো কালিতে।
শোকের সেই পরিকল্পিত স্বাক্ষর, রবীন্দ্রগ্রন্থ নির্মাণের সেই ঐতিহাসিক ঘটনা হেলায় উপেক্ষা করিতেছে বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ। |
|
শেষ লেখা-র যে সংস্করণটি এক্ষণে বাজার-চলিত তাহার প্রচ্ছদে ফিরিয়া আসিয়াছে সব ক্ষেত্রে ব্যবহৃত লাল কালি। ছোট হইয়া গিয়াছে আকার, উদয়ন গৃহে ১৯৪১-এ গৃহীত রবীন্দ্র-প্রতিকৃতিটিও উধাও হইয়াছে। এই পরিবর্তন কেন, সে বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা এই সংস্করণে নাই। বিশ্ববিদ্যাসংগ্রহের স্মরণীয় প্রচ্ছদটি বদলাইবার চেষ্টা হইয়াছিল এক বার, তাহার পরে পুনর্বার, এই ইতিহাস-বিস্মৃত উদ্যোগ শঙ্কিত করে। |
|
|
 |
|
|