|
|
|
|
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পরেই বিডিওদের তলব ডিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
‘পিছিয়ে পড়া’ জেলায় উন্নয়নের গতিতে সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য জেলাসফরে এসে সেই অসন্তোষ চেপে রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে বিডিওদের আরও বেশি করে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পরই তড়িঘড়ি বিডিওদের নিয়ে বৈঠক ডাকছেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত। সোমবারই বৈঠক ডাকা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী যে কাজগুলির উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, তা কি ভাবে দ্রুত রূপায়ণ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক।
পশ্চিম মেদিনীপুর ‘পিছিয়ে পড়া’ জেলা। দারিদ্র্য ও বঞ্চনাকে হাতিয়ার করেই মাওবাদীরা এ জেলায় প্রভাব বিস্তার করেছিল। এই জেলার উন্নয়নে তাই রাজ্য সরকারের ‘বিশেষ নজর’ রয়েছে। বারেবারেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে আসছেন জেলায়। নানা উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণা করছেন। কিন্তু সময়ে তা বাস্তবায়িত না হলে কী লাভ! তাই প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে বিডিওদের আরও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিকে, ব্লক অফিসগুলিতে কর্মী সঙ্কট। গুচ্ছ গুচ্ছ নতুন প্রকল্প রূপায়ণ থেকে শুরু করে স্কুলের মিড-ডে মিল, অঙ্গনওয়াড়ি, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, রেশন ব্যবস্থার তদারকি, তফসিলি ভাতা, ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাড়ি দেওয়া, স্ব-সহায়ক দল তৈরি করাকাজের শেষ নেই ব্লক অফিসে। এত প্রতিকূলতার মাঝে কাজের কৌশল ঠিক করতেই বিডিওদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছে জেলা প্রশাসন।
বামআমলে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের মাধ্যমেই উন্নয়নের কাজ হত। তখন বিডিওদের হাতে বেশি ক্ষমতা ছিল না। পঞ্চায়েত সমিতি যা সিদ্ধান্ত নিত সেটাই মানতে হত বিডিওদের। এখন জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রাম পঞ্চায়েতকে এড়িয়ে বিডিওদের হাতেই বেশি ক্ষমতা দিচ্ছে সরকার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে পরিষ্কার ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, বিডিওদের সদিচ্ছা থাকলে সহজেই উন্নয়ন সম্ভব। প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলে প্রশাসনিক ভাবেই কড়া হাতে তা মোকাবিলা করতে বলা হয়েছে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মাওবাদী উপদ্রুত ঝাড়গ্রাম ও বেলপাহাড়িতে গিয়েছিলেন। ঝাড়গ্রামে সভা করার পর বেলপাহাড়িতে সমাবেশ করেন। তার পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার জন্মাষ্টমীর ছুটি ছিল। শুক্রবার অফিস হয়েই শনি ও রবিবার ছুটি। কোনও দেরি না করে সোমবারই বিডিওদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন জেলাশাসক। |
|
|
|
|
|