খনিতে বিস্ফোরণ করে কয়লা তোলার সময়ে কয়লার টুকরো ছিটকে আহত হলেন এক খনিকর্মী। শুক্রবার সকালে ময়রা কোলিয়ারির জামবাদ খনির ঘটনা। নারায়ণ বিশাই নামে ওই কর্মীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাল্লা কেন্দ্রীয় হায়পাতালে (ইসিএল) ভর্তি করা হয়েছে। কোলিয়ারি সূত্রে জানা গিয়েছে, লোডার পদে কর্মরত নারায়ণ বিশাই বৃহস্পতিবার রাতের পালিতে খনি গর্ভে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কয়লা তোলার আগে ১৪ নম্বর লেভেলে জল ছিটিয়ে ১৩ নম্বর লেভেলের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটানো হলে ওই কয়লার ছিটকে তার গায়ে পড়ে। তাঁকে প্রথমে কোলিয়ারির চিকিৎসাকেন্দ্র ও সেখান থেকে কাল্লা কেন্দ্রীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কোলিয়ারির কর্তৃপক্ষ জানান, কী ভাবে ঘটনাটি ঘটল তা দেখা হচ্ছে।
|
কলেজে নিয়মিত দেরি করে আসেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা- এই অভিযোগে শুক্রবার কলেজের মূল গেটে তালা লাগিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখালেন আসানসোল পলিটেকনিক কলেজের পড়ুয়ারা। এ দিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টে পর্যন্ত গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ চলায় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা কেউই কলেজে ঢুকতে বা কলেজ থেকে বেরোতে পারেননি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সুনীল কেউট অভিযোগ করেন, “আমরা বহু বার অধ্যক্ষের কাছে সঠিক সময়ে কলেজ খোলা ও ক্লাস নেওয়ার আবেদন করেছি। কিন্তু অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি।” কলেজের অধ্যক্ষ শৈলেন আইচ সমস্যার সমাধানের জন্য শনিবার পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠক করার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে।
|
মাসখানেক আগে বেলবাঁধ খোলামুখ খনির পাশে একটি জ্বলন্ত খনিতে পড়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন এক খনি-কর্মী সুভাষ গৌড়। বৃহস্পতিবার তাঁর পোষ্যের চাকরি-সহ একগুচ্ছ দাবিতে সিটুর নেতৃত্বে কুনস্তরিয়া এরিয়া কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালেন খনি-কর্মীরা। বিক্ষোভ শেষে এরিয়ার জিএমের অনুপস্থিতিতে পার্সোনাল ম্যানেজার মিলন দাসের হাতে দাবিপত্র তুলে দেওয়া হয়। সিটু নেতা মনোজ দত্ত জানান, এক মাসের বেশি কেটে গেলেও সুভাষবাবুর দেহ উদ্ধার করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ধোঁয়া ও আগুন নেভেনি এখনও। তাঁর দাবি, সুভাষবাবুর পরিবারের সদস্যদের অবস্থা সঙ্কটজনক। অবিলম্বে সুভাষবাবুর পরিবারের এক জনকে চাকরি দিতে হবে। তিনি জানান, কুনস্তরিয়া কোলিয়ারির ভূগর্ভে মিথেন বিস্ফোরণের ফলে বছর দুয়েক কোলিয়ারি বন্ধ ছিল। ফের কোলিয়ারি খুললেও কয়লা কাটা চালু হয়নি। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে উৎপাদন শুরু করতে হবে। নর্থ সিহারশোল থেকে যে কর্মীদের অন্যত্র বদলি করা হয়েছে, অবিলম্বে তাঁদের ফিরিয়ে এনে কোলিয়ারি চালু করতে হবে। মিলনবাবু জানান, দাবিপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
|
অনিয়মের অভিযোগে শুক্রবার থেকে কলেজের সামনে ধর্নায় বসলেন কয়েকজন শিক্ষক। আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ঘটনা। তাঁদের নেতা অসীম ঘটক জানান, টেকনো ইন্ডিয়ার সব কলেজে ১০ শতাংশ মহার্ঘ্যভাতা দেওয়া হলেও এই কলেজে ৩ শতাংশ মহার্ঘ্যভাতা দেওয়া হয়। এছাড়া আর্ন লিভ বা বার্ষিক পদোন্নতিরও কোনও ব্যবস্থা নেই। তিনি জানান, এক শিক্ষক উচ্চ শিক্ষার জন্য ইস্তানবুল গিয়েছিলেন। ফিরে এসে তিনি জানতে পারেন তাঁকে অধ্যাপকদের আন্দোলন থেকে সরে আসার শর্তে কলেজে কাজ করতে দেওয়া হবে। প্রতিকারের দাবিতেই তাঁদের বিক্ষোভ। বিক্ষোভ লাগাতার চলবে বলেও জানান তিনি।
|
রহস্যজনক ভাবে মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ একটি বেসরকারি সংস্থার এক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর নাম কাঞ্চন গড়াই। বাড়ি সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুর সংলগ্ন সীমান্তপল্লী এলাকায়। সালানপুর থানায় তাঁর স্ত্রী এ’বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আসানসোল দুর্গাপুরের এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ওই ব্যক্তির খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। পারিবারিক সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, মঙ্গলবার বছর সাতচল্লিশের ওই ইঞ্জিনিয়ার বার্নপুরের ওই বেসরকারি সংস্থায় কাজে গিয়েছিলেন। প্রতিদিনের মতোই সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ অফিসের গাড়ি তাঁকে আসানসোলের ভগৎ সিংহ মোড়ে নামিয়ে দেয়। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। তাঁর সঙ্গে তিনটি মোবাইল ফোন রয়েছে। তবে সবক’টিই বন্ধ। শুক্রবার তাঁর পরিবারের তরফে এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করা হয়।
|
কাজ করার সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। জখম হন তাঁর সঙ্গীও। দু’জনেই পেশায় রাজমিস্ত্রী। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শেখ জাহাঙ্গির (২৮)। শুক্রবার তিনি ও শেখ হাদুল কাজ করছিলেন। তখনই তাঁরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। প্রথম জন মারা যান। দ্বিতীয় জনকে জখম অবস্থায় ভর্তি করা হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে।
|
কালভার্টের নীচ থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে নিউ টাউনশিপ থানার এমএএমসি কলোনির ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের বয়স আনুমানিক বয়স ৪০ বছর। পরনে ছিল জিন্সের প্যান্ট ও হলুদ জামা। মৃতের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। |