এক সময়ে তারকেশ্বর-মগরা রেলপথ দিয়ে স্টিমইঞ্জিন চালিত ট্রেন চলত। কিন্ত দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর আগেই এই রেলপথ বন্ধ হয়ে যায়। এই রেলপথ চালু হলে জয়রামবাটি, কামারপুকুর, রাধানগর, ধনেখালি, তারকেশ্বর, দশঘরা, মগরা-সহ বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান অল্প সময়ের মধ্যে পরিদর্শন করতে পারবেন পর্যটকেরা। আর, মগরা থেকে যে রেলপথ দিয়ে ব্যান্ডেল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা যায়, সেই পথকে সংস্কার করে কাটোয়া লাইনের সঙ্গে যুক্ত করা হলে ওই পর্যটন মানচিত্রের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যাবে ত্রিবেণী, নবদ্বীপ এবং কালনা। ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল তারকেশ্বর-মগরা রেলপথের শিলান্যাস হলেও কাজের অগ্রগতি এখনও আশানুরূপ নয়। এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হলে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে তাঁত, চিকন শিল্প ও কৃষি পুনরুজ্জীবিত হবে। তা এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করা হোক।
লক্ষ্মণ সাঁতরা। দাদপুর, হুগলি।
|
হাসপাতালরোগীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমতা গ্রামীণ হাসপাতালের চার দিক প্রাচীর দিয়ে ঘেরা অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসক এবং নার্সদের সব সময় রোগীদের জন্য হাসপাতালে থাকতে হয়। থাকেন রোগীদের আত্মীয়-স্বজনও। স্থানীয় বিধায়ক নির্মল মাজি এই গ্রামীণ হাসপাতালটির উন্নয়নে অত্যন্ত সচেষ্ট। কিছু দিন আগে স্বাস্থ্য দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। আশা করব, বিধায়ক এই হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়ন করে গ্রামের গরিব মানুষের বহু দিনের প্রত্যাশা পূরণ করবেন।
অমল চট্টোপাধ্যায়। আমতা, হাওড়া।
|
ধর্মতলা-আমতা সিটিসি বাসে প্রতিদিন বহু মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, রাত পৌনে ৯টার পরে ধর্মতলা থেকে আমতাগামী বাস পাওয়া যায় না। অথচ, তখন বহু যাত্রী অপেক্ষা করেন। ধর্মতলা থেকে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আমতাগামী বাস প্রয়োজন। তাতে বহু মানুষের উপকার হয়। স্থানীয় বিধায়ক তথা কলকাতা ট্রাম সংস্থার ডিরেক্টর বোর্ডের সদস্য নির্মল মাজির দৃষ্টি আকর্ষণ করি।
দীপঙ্কর মান্না। আমতা, হাওড়া।
|
হুগলির ধনেখালি থানার ভাণ্ডারহাটি গ্রামের ডাকঘর-ভবনটি এতই ছোট যে গ্রাহকদের দাঁড়িয়ে লেনদেন করার মতো জায়গা নেই। ওই ডাকঘরে দিনের পর দিন গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিন্তু ভবনটি পরিবর্তন করার কোনও উদ্যোগ নেই। কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, ভাণ্ডারহাটি ডাকঘরের স্থান পরিবর্তন হোক।
স্বপনকুমার আঢ্য। ধনেখালি।
|
বাগনান দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একটি জনবহুল স্টেশন। বাগনান স্টেশনে যতগুলি রাস্তা এসে মিশেছে, তার মধ্যে ব্যস্ততম হল খালোড় কালীবাড়ি থেকে বাগনান কলেজ হয়ে স্টেশন পর্যন্ত যে রাস্তাটি এসেছে। রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। পিচ বহুদিন আগেই উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। অথচ, ওই রাস্তার ধারেই রয়েছে বেশ কিছু স্কুল, একটি কলেজ, কয়েকটি ব্যাঙ্ক, বিমা সংস্থার অফিস এবং একটি সিনেমা হল। তাই নিত্যযাত্রী ও ছাত্রছাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
হেমন্ত রায়। বাগনান।
|
হাওড়ার জয়পুর ব্লকের অন্তর্গত প্রত্যন্ত গ্রাম ভাটোরা, কুলিয়া, ঘোড়াবেড়িয়া, চিৎনান ইত্যাদি। প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বাস এই দ্বীপ অঞ্চলটিতে। রাস্তাঘাটের অবস্থা তথৈবচ। এখানে কোনও সাধারণ পাঠাগার নেই। নেই বৃত্তিমূলক শিক্ষার কোনও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সজলধারা প্রকল্পের জল এখনও সর্বত্র পৌঁছয়নি। কাশমলি থেকে কুলিয়া মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপরে একটি পাকা সেতু তৈরি হলে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। অন্তত একটা সুন্দর স্বাস্থ্য পরিষেবা সকলেই পেতে পারেন।
সোমা ভুঁইয়া। আরামবাগ, হুগলি।
|
রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ চাই |
উদয়নারায়ণপুর বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন চৌমাথা একটি জনবহুল এলাকা। অবিলম্বে যাত্রীদের সুবিধার জন্য চৌমাথায় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা প্রয়োজন।
সুনীল ঘোষ। ঘোলা, হাওড়া। |