সকালে ব্রক্ষ্ম উপাসনার মধ্য দিয়ে প্রয়াণ দিবসে গুরুদেবকে স্মরণ করল বিশ্বভারতী। মঙ্গলবারের এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিশ্বভারতীর প্রধান তথা রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন ও তাঁর পরিবার। উপাসনা শেষে উপাসনা গৃহ এলাকায় ‘প্রতীকি’ বৃক্ষরোপণ করেন তিনি।
যদিও অন্যান্য বছরের মতো এ বার রবীন্দ্রভবনের উদয়ন গৃহে রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানানোর কোনও ব্যবস্থা করেননি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আজকের দিনে ‘আগুনের পরশমণি’ গানটি গাইতে গাইতে উপাসনা গৃহ থেকে ছাতিমতলা হয়ে উদয়নে গিয়ে গুরুদেবকে শ্রদ্ধা জানানোটাই রীতি ছিল বিশ্বভারতীর। যে অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ থেকে পড়ুয়া, সাধারণ রবীন্দ্রানুরাগী সকলেই। কিন্তু এ বার উদয়ন গৃহ বন্ধ ছিল। ফলে উদয়ন গৃহের সামনে থেকেই ফিরে যেতে হল পড়ুয়া ও রবীন্দ্রানুরাগীদের। তাঁদের অভিযোগ, অন্যান্য বার উপাসনার পর উদয়নে পৌঁছে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হত। কিন্তু এ বার খোলা নেই উদয়নই। উদয়ন গৃহে কেন শ্রদ্ধা জানানো হল না, এ বিষয়ে অবশ্য বিশ্বভারতী কোনও মন্তব্য করেনি। অন্য দিকে, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেলে শ্রীনিকেতনের মোলডাঙায় বৃক্ষরোপণ উৎসব করে বিশ্বভারতী। অনুষ্ঠানে উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত, জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা কস্তুরী দত্ত প্রমুখ বিশিষ্টজনেরা হাজির ছিলেন। প্রধান অতিথি ছিল মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালার ছাত্রী অন্বেষা কুণ্ডু। |