সাইনা নেহওয়ালকে যদি বাদ রাখা যায়, তা হলে লন্ডন অলিম্পিকের ষষ্ঠ দিনটা ভারতীয়দের পক্ষে মোটেই ভাল গেল না। শ্যুটিংয়ে পুরুষদের ডাবল ট্র্যাপে যিনি পদক আনতে পারেন বলে ভাবা হচ্ছিল, সেই রঞ্জন সোধী ছিটকে গেলেন যোগত্যঅর্জন পর্ব থেকেই। তা-ও বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর কি না শেষ করলেন একাদশ স্থানে! চব্বিশ জন শ্যুটারের মধ্যে।
শ্যুটিংয়ে এ দিন স্বপ্নভঙ্গ হল। কিন্তু সেই শ্যুটিং ঘিরেই শুক্রবার আবার পদক জয়ের স্বপ্ন দেখার পালা। কারণ আবার নামছেন গগন নারঙ্গ। ৫০ মিটার এয়ার রাইফেল প্রোনে। সঙ্গে থাকবেন বাঙালি শ্যুটার জয়দীপ কর্মকারও। প্রশ্ন একটাই। ভারতকে কি আরও একটা পদক দিতে পারবেন গগন? অঘটন ঘটাতে পারবেন জয়দীপ? অলিম্পিক পোডিয়ামে কি আবার ভারতীয়দের দেখা যাবে? |
এগোলেন বিজয় কুমার (ডান দিকে)। শুক্রবার জয়দীপের লড়াই। ছবি: উৎপল সরকার |
আগের দিন পর্যন্ত ভাল ফল হচ্ছিল বক্সিংয়েও। কিন্তু বৃহস্পতিবার হল না। পুরুষদের ৬০ কেজি বিভাগের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিশ্রী ভাবে বিদায় নিতে হল ভারতীয় বক্সার জয় ভগবানকে। কাজাখাস্তানের গানি জাইলভের কাছে হেরে। ২৫ মিটার র্যাপিড ফায়ার পিস্তলে অবস্থা তবু ভাল। প্রথম কোয়ালিফায়ারে পঞ্চম হয়েছেন ভারতীয় প্রতিনিধি বিজয় কুমার। তিনি আপাতত যোগ্যতাঅর্জন পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে।
হকিতে পর পর দু’টো ম্যাচ হেরে গিয়ে কোচ মাইকেল নবস একহাত নিয়েছেন প্লেয়ারদের। শুক্রবার জার্মানির বিরুদ্ধে নামার আগে নবস বলেছেন, “আমাদের বেশ কয়েক জন প্লেয়ার গেম প্ল্যান বুঝতেই পারছে না। মাঠে গিয়ে নিজেদের ইচ্ছে মতো খেলছে। স্ট্র্যাটেজি সব ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে প্র্যাক্টিসে আমরা সব ঠিক ঠাকই করেছি। কিন্তু মাঠে নেমে সব উল্টো-পাল্টা হয়ে যাচ্ছে।” এখন দেখার, শুক্রবার জার্মানির বিরুদ্ধে ব্যর্থতা মুছতে পারে কিনা ভারত।
এ দিন ভগবান নন, আশা বেশি ছিল সোধীকে ঘিরেই। দু’বছর আগে গুয়াংঝৌ এশিয়ান গেমসে তিনি সোনা এনে দিয়েছিলেন দেশকে। কিন্তু এ দিন চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়ে তাঁকে ছিটকে যেতে হয়। ফিরোজপুরের শ্যুটার ১৫০-এর মধ্যে স্কোর করেন ১৩৪। প্রথম যে ছ’জন ফাইনাল পর্বে গেলেন, তাঁদের মধ্যে ঢুকে পড়া দূরের ব্যাপার, দশের মধ্যেই থাকতে পারলেন না। বিশ্বের বর্তমান এক নম্বর ব্রিটেনের পিটার উইলসনের সঙ্গে তাঁর তফাত থেকে গেল নয় পয়েন্টের। ২০১০ এবং ২০১১পর পর দু’বছরে দু’বার ডাবল ট্র্যাপ বিভাগে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন সোধীর এমন পারফরম্যান্স দেখে অনেকেই হতবাক।
সোধীর মতো অবস্থা হয় বক্সার জয় ভগবানেরও। শুরুটা ভাল করেছিলেন। প্রথম রাউন্ডের পর মনেও হচ্ছিল, কাজাখ বক্সারকে হারানো তাঁর পক্ষে অসম্ভব কিছু হবে না। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। |