টুকরো খবর
প্রতারণার অভিযোগে ধৃত
ধৃত শম্ভু ছেত্রী।
চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে তা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে এক প্রাক্তন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম শম্ভু ছেত্রী। মঙ্গলবার রানাঘাটের মিশন রোডের বাড়ি থেকে তাকে ধরে পুলিশ। রানাঘাটের এসডিপিও আজাহার এ তৌসিফ বলেন, “ধৃতের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে সে পলাতক ছিল। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করানো হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার এলাকার এসডিপিও-র নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন শম্ভু। সেই সময়ে স্থানীয় কয়েক জন যুবককে চাকরির টোপ দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে ২০১১ সালে কয়েক লক্ষ টাকা নেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জামিনে ছাড়া পায় শম্ভু।

হোমেই ফিরল শিবু
মায়ের কাছে নয়, সিংহকে আপাতত হোমে ফিরে যাও।য়ারই নির্দেশ দিল বহরমপুরের সিজেএম আদালতের বিচারক। বৃহস্পতিবার বিচারক অলি বিশ্বাস ওই নির্দেশ দেন। গত ২২ জুলাই মা কল্পনা সিংহ ছেলেকে নিজের হেফাজতে রাখার দাবি জানিয়ে বহরমপুরের সিজেএম আদালতে আবেদন জানান। মুর্শিদাবাদ চাইল্ড লাইন অবশ্য তার বিরোধিতা করে আইনজীবী নিয়োগ করে। ওই মামলায় বিচারক এদিন মায়ের আবেদন খারিজ করে শিবুকে হোমে রাখার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে কল্পনাদেবীকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে ওই আবেদন জানানোর কথা বলেন। শিবুকে গালে গরম খুন্তির ছেঁকা দেওয়া ও মারধরের অভিযোগ ওঠে বহরমপুরের দম্পতি কিশোর ভকত ও জয়ন্তী ভকতের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পর গত ১০ জুলাই থেকে সরকারি হোমে রয়েছে মেদিনীপুরের বাসিন্দা শিবু।

জঙ্গিপুরে ফেরার বন্দি
হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এক বন্দি। মাস তিনেক আগে সুতু থানার পুলিশ নুরপুর গ্রাম থেকে বিক্রম ঘোষ নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। সেই থেকেই জঙ্গিপুর উপ সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন ওই যুবক। সংশোধনাগারের সুপারিন্টেন্ডেন্ট তথা জঙ্গিপুরের এসডিও এনাউর রহমান বলেন, “অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই বন্দিকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বুধবার ওই বন্দি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।” জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “পুলিশি হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও ওই বন্দি কী করে পালাল তা খতিয়ে দেখতে জঙ্গিপুরের এসডিও-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জঙ্গিপুরের এসডিপিও উইংডেন ভুটিয়া বলেন, “তদন্ত শুরু করা হয়েছে। রিপোর্ট ইতিমধ্যেই পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।”


রাখি উৎসবে লাঠি-খেলা। রঘুনাথগঞ্জে ছবিটি তুলেছেন অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।

বোমার আঘাতে যুবকের মৃত্যু
গ্রামের দুই গোষ্ঠীর বোমাবাজিতে মারা গিয়েছেন সামশুল আবেদিন সরকার (৪০) নামে এক ব্যক্তি। বাড়ি ডোমকলের মেহেদিপাড়ায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রামে দুই গোষ্ঠীর গণ্ডগোলের জেরে বোমাবাজি হয়। বোমার আঘাতে জখম হন সামশুল ও তাঁর মা লায়লা বেওয়া। তাঁদের দু’জনকে প্রথমে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সামশুলকে বহরমপুরে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁরা। ডোমকলের এসডিপিও দেবর্ষি দত্ত বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।”

রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার
নিখোঁজ এক কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নাম নিহার বেগম ওরফে শম্পা। গত ২৮ জুলাই থেকে সুতির বাউরিপুনি গ্রামের বাসিন্দা নিহার নিখোঁজ ছিল। পুলিশের কাছে তার পরিবারের তরফে একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। বুধবার ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ের মালপাহাড়ি এলাকার একটি খাদাদান থেকে তার রক্তাক্ত মৃতদেহটি উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায়, কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।

কর্মবিরতি পালন
চাকরির নিরাপত্তা চেয়ে বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদে কর্মবিরতি পালন করলেন ২৪ জন অস্থায়ী কর্মী। এ দিন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সংগঠনের তরফে জেলা জুড়ে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়। সংগঠনের নদিয়া জেলা শাখার সম্পাদক শতরূপা সান্যাল বলেন, “২০০৫-এ শুরু হওয়া গ্রামীণ বিকেন্দ্রীকরণ কর্মসূচিতে আমাদের নিয়োগ করা হয়। চলতি বছরেই সেই মেয়াদ ফুরোবে। চাকরি সুনিশ্চিত করার দাবিতে এই কর্মবিরতি।”


রাখিবন্ধন। কৃষ্ণনগরে যুবকল্যাণ দফতরের উদ্যোগে রাখি-উৎসব। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।

অস্বাভাবিক মৃত্যু
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে রাজলক্ষ্মী বাগদি (৬০) নামে এক মহিলার। বাড়ি বড়ঞার শ্রীহট্টে। বুধবার তিনি কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.