|
|
|
|
পুণে বিস্ফোরণে জঙ্গি যোগ নিয়ে পুলিশ আঁধারেই |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
নয়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্যে বিস্ফোরণের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোনও সূত্র পাননি গোয়েন্দারা। মহারাষ্ট্র পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সঞ্জীব সিঙ্ঘল এ দিন জানান, কোনও কোনও মহল থেকে ঘটনার সঙ্গে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের যোগ থাকার কথা বলা হলেও সে বিষয়ে প্রামাণ্য কোনও তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে আসেনি। প্রাথমিক ভাবে, যে দোকান থেকে কেনা সাইকেলে করে বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই দোকানের মালিক ও এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে স্থানীয় লোকজনকেও।
পুলিশ সূত্রে খবর, একটি বাক্সের মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও নিওজেল মিশ্রিত কোনও বিস্ফোরক রেখে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। যেখানে একটি ঘড়িকে টাইমার হিসেবে ব্যবহার করারও প্রমাণ মিলেছে। তদন্তে এটিএস-কে সাহায্য করতে এ দিন নয়াদিল্লি থেকে পুণে গিয়ে পৌঁছেছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ), এনএসজি ও সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞরা। তদন্তে নেমেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাও। এটিএস সূত্রে খবর, ৩টি বিস্ফোরণস্থলের কাছেই ঘটনাচক্রে লাগানো ছিল ক্লোজড সার্কিট টিভির ক্যামেরা। কিন্তু সেগুলি থেকে পাওয়া ফুটেজ বিশ্লেষণ করেও তেমন কোনও তথ্য জোগাড় করতে পারা যায়নি। এর মধ্যে কিছু ক্যামেরা লাগানো থাকলেও কাজ করেনি। ফলে সমস্যা বেড়েছে তদন্তকারী অফিসারদের।
ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন এর আগে একাধিক বিস্ফোরণে যে ভাবে ঘড়ি টাইমারের ব্যবহার ও সাইকেল করে বিস্ফোরক নিয়ে গিয়েছিল, এ বারও তার প্রমাণ মেলায় কাল রাত থেকেই বিস্ফোরণের পিছনে তাদের হাত থাকার সম্ভাবনার বিষয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল।
পাশাপাশি, দু’বছর আগে, ২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে পুণের জার্মান বেকারিতে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৭ জন। সেই ঘটনার পিছনে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন সিমির যোগসূত্র আগেই প্রমাণিত। |
|
|
|
|
|