অলিম্পিকে ভারতীয় শ্যুটিং দলকে চাগিয়ে গিয়েছে গগন নারঙ্গের ব্রোঞ্জ। ভারতের আর এক পদক প্রত্যাশী শ্যুটার রঞ্জন সোধির কথাতে সেটা পরিষ্কার। রঞ্জনের নিজের ইভেন্ট বৃহস্পতিবার। ডাবল ট্র্যাপ ইভেন্ট। বুধবার এখানে রয়্যাল আর্টিলারি ব্যারাকে প্র্যাক্টিসের পরে রঞ্জন বলেছেন, “গগনের সাফল্যে আমরা এই মুহূর্তে দারুণ অনুপ্রাণিত। উত্তেজিতও। টিমের সবাই নিজের নিজের ইভেন্টে খুব ভাল কিছু করার কথাই ভাবছে।” শুধু শ্যুটিং দল নয়। রঞ্জন মনে করছেন, গগনের সাফল্যে এই অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকে ভারতীয়ই উদ্দীপিত। “ভিলেজে সবাইকেই তো দেখছি। মনে হচ্ছে, আমাদের গোটা দলটার মধ্যেই উৎসাহ বেড়ে গিয়েছে,” বলেছেন রঞ্জন।
ফিরোজপুরের এই শ্যুটার জানেন তাঁকে ঘিরেও এ বার পদকের প্রত্যাশা আছে। কিন্তু সে জন্য তিনি নিজেকে চাপে ফেলতে রাজি নন। বলেছেন, “আমি নিজেও জানি আমার উপর অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। ভাবতে বেশ ভালই লাগছে। তবে তার জন্য কোনও চাপ নেই। ভাল কিছু করাটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।” লন্ডনের আবহাওয়া নিয়ে রঞ্জন যে একটু হলেও চিন্তায় আছেন সেটা তিনি স্বীকার করেছেন। বলেছেন, “পরিবেশ অনুকূল হলে খুশিই হব। তবে ব্যর্থ হলে যারা আবহাওয়াকে দায়ী করে আমি তাদের দলে থাকতে চাই না।” শ্যুটিংয়ে ইন্ডোর ইভেন্ট বাদ দিলে, আউটডোরের ক্ষেত্রে লন্ডনের আবহাওয়া শু্যটারদের পারফরম্যান্সে ফারাক গড়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রঞ্জন অবশ্য বলেছেন, “আমাদের ইভেন্ট আউটডোরেই। বিশেষ করে ডাবল ট্র্যাপ ইভেন্টে প্রকৃতির প্রভাব সবথেকে বেশি। এটা মাথায় রেখেই তৈরি হতে হয়। কিন্তু আবহাওয়া যাই হোক তার প্রভাব পড়বে প্রত্যেক শ্যুটারের উপরই। তাই আলাদা করে এটাকে অজুহাত হিসাবে খাড়া করার পক্ষপাতী নই।”
এ বছর বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে রঞ্জন সপ্তম হন। তাঁর মনে হচ্ছে, ১৫০-এর মধ্যে ১৪৫ পয়েন্ট তুলতে পারলে ফাইনালের টিকিট পাওয়া যেতে পারে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের সম্পর্কে বলেছেন, “লড়াইটা যে প্রচণ্ড কঠিন তা বলাই বাহুল্য। ২২ জন শ্যুটারের মধ্যে বিশ্বের এক নম্বর পিটার উইলসন আছে। যুক্তরাষ্ট্রের জশুয়া রিচমন্ডও দারুণ শ্যুটার। জানতে চাইলেন বলে ওদের নাম করলাম। তবে প্রত্যেককেই কিন্তু একই সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে নামতে হবে।”
|
ইংল্যান্ডে থেকেও অলিম্পিক ভিলেজে নেই মেরি কম
নিজস্ব প্রতিবেদন |
অলিম্পিকে তাঁকে ঘিরে পদকের প্রত্যাশা থাকলেও বক্সার মেরি কম এখনও গেমস ভিলেজে পা রাখেননি। এবং এর জন্য পুরোপুরি দায়ী করা হচ্ছে ভারতীয় বক্সিং ফেডারেশনকে। মেয়েদের বক্সিংয়ে ভারতের একমাত্র প্রতিনিধি গত এক বছর ধরে ট্রেনিং নিচ্ছেন চার্লস অ্যাটকিনসনের কাছে। কিন্তু ভারতীয় বক্সিং ফেডারেশন এই বিদেশি কোচকে ভিলেজে থাকার সরকারি কার্ড দেয়নি। বাধ্য হয়ে মেরি ট্রেনিং করছেন অ্যাটকিনসনের নিজের শহর লিভারপুলে। এ বার ভারতীয় বক্সিং দলে আছেন পাঁচ জন। ২৯ বছরের মেরি এই দলে একমাত্র মহিলা সদস্য। পুরো দলের একজনই কোচ, অনুপ কুমার। মেরিকে বলা হয় অনুপের কাছে ট্রেনিং নিতে। বোঝা যাচ্ছে মেরি ব্যাপারটায় বিরক্ত। তাই এখনও ভিলেজে না গিয়ে তিনি লিভারপুলে ব্রিটিশ কোচের কাছে আছেন। ঘটনা হচ্ছে, লন্ডন অলিম্পিকের জন্য মেরির প্রস্তুতিতে অনুপের কোনও ভূমিকাই নেই। তবু মেরির পছন্দের কোচকে ফেডারেশন ভিলেজে থাকার অনুমতি না দেওয়ায় অনেকেই বিস্মিত। অর্থাৎ অলিম্পিক-যুদ্ধের সময় মেরি তাঁর পছন্দের কোচকে রিংয়ের পাশে পাচ্ছেন না। তিনি ভিলেজে থাকতে শুরু করবেন বৃহস্পতিবার, তাঁর প্রথম ম্যাচের তিন দিন আগে থেকে। |