লোডশেডিংয়ের দাপটে স্বাস্থ্য পরিষেবার উপরে বড়সড় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি জেনারেটর চালিয়ে পরিস্থিতি অনেকটাই সামলে নিতে পেরেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১টা নাগাদ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও একটি জেনারেটর ভাড়া করেন। এর জন্য অতিরিক্ত ২০০ লিটার ডিজেলও সংগ্রহ করা হয়। হাসপাতালে একটি জেনারেটর রয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই আরও একটি জেনারেটর আনা হয় বলে জানান সুপার তপনকুমার পালিত। তাঁর দাবি, “বিকল্প ব্যবস্থা করে রাখার ফলে বিদ্যুৎ না-থাকলেও আমাদের কোনও সমস্যা হয়নি।” তবে ট্রেন চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়ায় রাতের শিফ্টের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকে আসতে সমস্যায় পড়েন। সুপার বলেন, “যাঁরা আসতে পারেননি তাঁদের সঙ্গে আমরা নিয়মিত টেলিফোনে যোগাযোগ রেখেছিলাম। অনেককে গাড়ি পাঠিয়ে আনা হয়েছিল।” রাত পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলেন সুপার, সহকারী সুপার-সহ অন্যান্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালেও জেনারেটর চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। পর্যাপ্ত তেল মজুত আছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জরুরি পরিস্থিতির কথা ভেবে কিছু মোমবাতিও কিনে রাখা হয়েছে।
আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালেও সন্ধের পর থেকে জেনারেটরই ছিল ভরসা। দুপুরের দিকে অবশ্য গরমে কষ্ট পেয়েছেন রোগীরা। বিদ্যুতের অভাবে পানীয় জলের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকায় পুরসভার কাছ থেকে তিন ট্যাঙ্ক পানীয় জল আনিয়ে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন সুপার নির্মাল্য রায়।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ও বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালেও জেনারেটর চালানো হয়েছে দীর্ঘক্ষণ।
বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে এ দিন বিদ্যুতের অভাবে দুপুর ১টার পর থেকে অস্ত্রোপচার বন্ধ ছিল। ফলে, বহু রোগী ও তাঁদের পরিবারকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এক্স-রে, আলট্রা-সোনোগ্রাফির কাজও দুপুরের পরে চালু হয়নি। তবে জেনারেটর চালিয়ে পরিস্থিতি যতটা পারা যায় স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে বড় জেনারেটর দিয়ে দীর্ঘ সময়ে কাজ চালানো যাবে না মনে করে ছোট কয়েকটি জেনারেটর ভাড়া করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ভাবে ওয়ার্ডে আলোর ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু পাখা চালানো হয়নি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে নিজস্ব জেনারেটর থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত আরও দু’টি ভাড়া করা হয়। পর্যাপ্ত তেল মজুত আছে বলে জানিয়েছেন সুপার চিরঞ্জিৎ মুর্মু।
|