রাজ্যপালের কাছে একত্রে ইনটাক-সিটু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ধর্মঘটে সামিল না-হলেও তারা যে পরিবহণ কর্মীদের ‘পাশেই’ রয়েছে, সেই ‘বার্তা’ দিতে সিটু-সহ বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলি মঙ্গলবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করল। সঙ্গে গেল আইএনটিউসি-ও। পরিবহণ ধর্মঘটের বিরোধিতা করা আরএসপি-র শ্রমিক সংগঠন ইউটিইউসি, সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি এবং সিপিআই-এমএল (লিবারেশন)-এর শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও রাজভবনে গিয়েছিলেন। সরকারি পরিবহণ সংস্থার কর্মীদের দুরবস্থা, আত্মহত্যা, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও মাস-পয়লায় বেতন না-পাওয়া, সরকারি পরিবহণে ভর্তুকি তুলে দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তার আগে সমস্ত শ্রমিক সংগঠন যৌথ ভাবে রানি রাসমণি অ্যাভেনিউয়ে সকাল থেকে অবস্থান করে। সিটুর পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের নেতা সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন, সরকারি-বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা ক্রমেই পঙ্গু হয়ে পড়ায় যাত্রী পরিষেবায় বিঘ্ন নিয়ে রাজ্যপাল ‘উদ্বিগ্ন’। সরকারি পরিবহণের উপর থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার বিরোধী আইএনটিইউসি। শ্রমিকদের দাবিদাওয়া আদায়ে রাজ্য সরকারকে ‘চাপ’ দিতে তারা পথে নামতে বাধ্য হচ্ছে বলে এ দিন জানান সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, “শ্রমিক স্বার্থ না দেখে বাম আমলেও দলবাজি হয়েছে। এখনও একই অবস্থা। দলবাজি বন্ধ করে পরিকাঠামো উন্নয়নের চেষ্টা হোক।” দাবি আদায়ে শ্রমিকদের ‘করণীয়’ স্থির করতে আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমগুলির আইএনটিইউসি সমর্থকদের নিয়ে সম্মেলন হবে। |
ফের এসএসসি পরীক্ষার দাবি বিরোধীদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শুধু পাঁচটি কেন্দ্র নয়। ‘নজিরবিহীন নৈরাজ্যে’র জন্য এ বারের গোটা স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) পরীক্ষাই নতুন করে নেওয়ার দাবি তুলল বামফ্রন্ট। বিভ্রাটের তদন্তে রাজ্য সরকার যে সব ঘোষণা করেছে, তাতে বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে বলেও অভিযোগ তাদের। রবিবারের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র মঙ্গলবার বলেন, “পাঁচটি কেন্দ্রে আবার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। গোলমাল হয়েছে অনেক বেশি জায়গায়। পুরো পরীক্ষাটাই আবার নিতে হবে।” একই দাবি জানান ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক আভাস রায়চৌধুরীও। নতুন করে পরীক্ষার দাবিতে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনগুলি এসএসসি-র দফতরে বিক্ষোভের কর্মসূচিও নিয়েছে। ঘটনার তদন্তে সরকারি পদক্ষেপ নিয়েও আপত্তি তুলেছেন সূর্যবাবু। তাঁর বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। আবার বলা হয়েছে, যে সব অঞ্চলে (জোন) গোলমাল হয়েছে, সেই স্তরের এসএসসি রিপোর্ট দেবে। এ ছাড়া, শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবও তদন্ত করবেন। বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, “কে তদন্ত করবে, এর মধ্যে কার রায় চূড়ান্ত হবে, কিছুই বোঝা যাচ্ছে না!” মানবাজার ও বাগনানে দুই তৃণমূল বিধায়ক কেন সদলে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন, তা নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তোলেন সূর্যবাবু। |
গ্রামে রাস্তা পাকা করবে পূর্ত দফতর
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পঞ্চায়েতের বেশ কিছু মোরাম রাস্তা পাকা করার দায়িত্ব দেওয়া হল পূর্ত দফতরকে। এডিবির টাকায় ওই রাস্তাগুলি পাকা হবে। মঙ্গলবার পূর্তসচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন এ কথা জানিয়ে বলেন, “এই খাতে প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। ওই টাকায় সব জেলারই কিছু কাঁচা রাস্তা পাকা হবে।” পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অসম, ছত্তীসগঢ়, ওড়িশা ও মধ্যপ্রদেশকে ৯০০০ কিমি রাস্তা তৈরির জন্য ৪৩২০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি। পশ্চিমবঙ্গের ভাগে পড়ছে ৮৬৪ কোটি টাকা। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় গ্রামে রাস্তা তৈরি হয়। কিন্তু সমস্যা দেখা যায় ৫ বছর পর।” ওই কর্তা বলেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে এককালীন টাকা পাওয়া যায়। কয়েক বছর পর রাস্তা সারানোর প্রয়োজন হলে কে টাকা খরচ করবে, তা নিয়ে দফতরগুলির মধ্যে ঠেলাঠেলি শুরু হয়। |
উচ্চ মাধ্যমিকে পুনর্মূল্যায়নের আবেদনকারীদের ২৫ শতাংশের নম্বর বদলে গেল। মঙ্গলবার উচ্চ মাধ্যমিকের রিভিউ বা পুনর্মূল্যায়ন ও স্ক্রুটিনির ফল বেরিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ কর্তৃপক্ষ জানান, ৪০ হাজার ৯৩৪ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৩৮ হাজার ৮০৬ জনের পুনর্মূল্যায়নের ফল এ দিন প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদনে নানা ভুলত্রুটির কারণে বাকিদের ফল প্রকাশে দিন দশেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংসদ। এ দিন যাঁদের ফল বেরিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৯৬২২ জনের নম্বর হেরফের হয়েছে। |