প্রাথমিক স্কুলের দু’টির ঘরের মধ্যে একটি ইমারতি দ্রব্যে ঠাসা। তাই স্কুলের কয়েকশো পড়ুয়াকে কষ্টেই ক্লাস করতে হচ্ছে। এই অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে কাশীপুর ব্লকের তিলাহিড় প্রাথমিক স্কুলের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিলেন অভিভাবকদের একাংশ। শিক্ষকরা এসে ফিরে যান।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুলের একটি ক্লাস ঘরের মধ্যে স্থানীয় একটি সেতু নির্মাণের লোহার রড, সিমেন্ট ইত্যাদি ডাঁই করে রেখেছেন ঠিকাদার। ফলে একবছর ধরে কষ্টের মধ্যেই নির্মান সামগ্রীর পাশে বসেই ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে পড়ুয়ারা। অশোক মাহাতো, গোপাল মাহাতোদের ক্ষোভ, “বেকো নদীর উপর সেত তৈরির কাজ চলছে। অনেকবার ঠিকাদারকে নির্মাণ সামগ্রী সরানোর জন্য বলেছি। কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে স্কুলে তালা দেওয়া হয়েছে।” বাসিন্দাদের আরও দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে একটি মাত্র স্বনির্ভর গোষ্ঠীকেই মিড-ডে মিল রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। |
গ্রামের অন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকেও এ বার দায়িত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে তাঁদের ক্ষোভ, সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পে বরাদ্দ এলেও নতুন ক্লাস ঘর অর্ধেক তৈরি করা হলেও কাজের ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ সময় মতো জমা দেওয়া হয়নি। ফলে বাকি বরাদ্দ আটকে গিয়েছে। এ দিন অবশ্য তাঁরা আর তালা খোলেননি।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা চামেলি হাজরার সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। তবে স্কুলের মধ্যে থেকে নির্মাণ সামগ্রী সরানোর ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় গগনাবাইদ পঞ্চায়েতের প্রধান লক্ষ্মী মাঝি। তিনি বলেন “সম্প্রতি বিডিও ওই স্কুল থেকে নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার নির্দেস দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকেও আমি তা সরিয়ে নিতে বলেছি।” তিনি জানান, মিড-ডে মিল সংক্রান্ত সমস্যার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সিদ্ধান্ত নেবেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জয়দেব বাউরি বলেন, “অন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে স্কুলে রান্নার কাজ দেওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সমস্ত মহলের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
আদ্রা চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুধাংশুশেখর চক্রবর্তী বলেন, “তিলাহিড় প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক কর্মরত অবস্থায় মারা যাওয়ার ফলে অতিরিক্ত শ্রেনিকক্ষ নির্মাণের কাজের কিছু নথিপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। ওই নথিপত্রের নকল জোগাড় করার জন্য গ্রাম শিক্ষা কমিটিকে বলা হয়েছে।” |