খেলার টুকরো খবর |
|
গেম পয়েন্টিং
অর্ঘ্য • ঘোষ
(হারিয়ে যাওয়া খেলা পর্ব ২৫) |
|
ছবি: সোমনাথ মুস্তাফি। |
‘চু কিৎ কিৎ’-এর মতোই ‘গেম পয়েন্টিং’ মূলত মেয়েদের খেলা। ওই খেলার সঙ্গে অনেক সাদৃশ্যও রয়েছে ‘গেম পয়েন্টিং’-এর। এই খেলাতেও ব্যবহৃত হয় ‘খোলাম কুচি’ বা ভাঙা টালির গোলাকার গুটি। সেই সঙ্গে মাটিতে কাটতে হয় একটি বিশেষ ছক। পয়েন্ট সংগ্রহ এই খেলার একমাত্র উদ্দেশ্য বলেই সম্ভবত খেলাটির নাম ‘গেম পয়েন্টিং’। ন্যূনতম দু’জন খেলোয়াড় নিয়ে একক ভাবে গেম পয়েন্টিং খেলা চলে। কে আগে দান নেবে তা ঠিক হয় টস বা গণনার মাধ্যমে। ‘চু কিৎ কিৎ’ খেলার ছকের তুলনায় এই খেলার ছক খানিকটা আলাদা। এ ক্ষেত্রে প্রায় ৪/৫ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি আয়তাকার ঘর টানা হয়। কোণ বরাবর দু’টি সরলরেখা টেনে আয়তাকার ঘরটিকে মোট ৪টি ভাগে বিভক্ত করা হয়। পাশাপাশি দু’টি ঘরের জন্য ৫০ ও ৬০ এবং বাকি দু’টির জন্য বরাদ্দ থাকে ৮০ ও ১০০ পয়েন্ট। নিয়ম হল, ৮০ ঘরের সামনে টস-জয়ী বিপরীত দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে খোলাম কুচির গুটিকে পেছনের দিকে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে ছুঁড়বে। কারণ, ওই গুটিকে আয়তাকার ঘরের বাইরে অথচ ১০০ পয়েন্ট ঘরের কাছাকাছি পড়তে হবে। গুটি যদি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ঘরের মধ্যে পড়ে, তাহলে দানচালকারী পয়েন্ট সংগ্রহের সুযোগ হারায়। অর্থাৎ এই খেলার নিয়ম মতো তাকে তখন ‘মরা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ফের নতুন ভাবে খেলা শুরু না হওয়া পর্যন্ত তাকে ‘মরা’ই থাকতে হয়।
অন্য দিকে, ঠিক জায়গায় গুটি ছুঁড়তে পারলে, দানচালকারীকে প্রথমে দু’পা জোড়া করে লাফিয়ে ৮০ পয়েন্টের ঘরে ঢুকতে হয়। এরপরেই লাফ দিয়ে এক পা ৫০ ও অন্য পা ৬০ পয়েন্টের ঘরে রাখতে হবে। ফের লাফ দিয়ে দুই পা এক করে দাঁড়াতে হবে ১০০ পয়েন্টের ঘরে। তারপর সর্বাধিক ৩ লাফের মধ্যে ওই ঘর থেকে এক পা তুলে পৌঁছতে হবে খেলার শুরুতে ছোড়া গুটির কাছে। ৩ লাফের মধ্যে গুটির কাছে পৌঁছনো সম্ভব না হলে দানচালকারী ‘মরা’ ঘোষিত হয়। সফল হলে এক পা তুলে অন্য পায়ের সাহায্যে তিন বারের ধাক্কাতে দানচালকারী গুটিকে যে ঘরে ঢোকাতে পারে তত পয়েন্ট সংগৃহীত হয় তার। খেলা শেষে সব থেকে বেশি পয়েন্ট সংগ্রহকারীই জয়ী হয়। ছোটবেলায় লাভপুরের শাহ আলমপুরের বধূ বেলি মণ্ডল, পাড়ুইয়ের অমিতা দাসদের ‘চু কিৎ কিৎ’-এর পাশাপাশি প্রিয় খেলা ছিল ‘গেম পয়েন্টিং’। তাঁরা বলেন, “ওই সব খেলার জন্য কত যে বকুনি খেয়েছি তার ঠিক নেই। কিন্তু খেলা ছাড়িনি!”
|
ত্রীড়া সংস্থার কমিটি গঠন |
বীরভূম জেলা পরিষদের হলে মঙ্গলবার জেলা ক্রীড়া সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন কমিটি গঠন করা হল। এ বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন বছরের জন্য ৩৩ জনের ওই কমিটি গঠিত হয়েছে। সভায় নির্বাচনে যোগ দিয়েছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার অনুমোদিত ৯১টি ক্লাবের প্রতিনিধি-সহ ৫৫ জন অ্যাসোসিয়েট সদস্য। নতুন কমিটিতে সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্যাসাগর সাউ। যুগ্ম ভাবে সহ-সম্পাদক হয়েছেন বিমল আশিস ভট্টাচার্য ও অমিত দত্ত। এ ছাড়া সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, সদানন্দ নায়েক, রজতশুভ্র চট্টোপাধ্যায় সহ সভাপতি এবং পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, ৩৩ জনের ওই কমিটিতে পদাধিকার বলে সভাপতি হয়েছেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, কার্যকরি সভাপতি হলেন জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা। এছাড়াও নতুন কমিটিতে পদাধিকার বলে ১৩ জন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক রয়েছেন।
|
রানার্স পুরুলিয়া |
|
আন্তঃরামকৃষ্ণ মিশন ফুটবল টুর্নামেন্টে রানার্স হল পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ। আয়োজন করেছিল বরাহনগর রামকৃষ্ণ মিশন। বিদ্যাপীঠ সূত্রে জানানো হয়েছে, কলকাতার বরাহনগর রামকৃষ্ণ মিশনের ময়দানে সম্প্রতি চূড়ান্ত ম্যাচে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়। বিদ্যাপীঠের প্রশিক্ষক অশোক ঘোষাল জানিয়েছেন চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছনোর পথে পুরুলিয়া বিদ্যাপীঠ মালদহকে মিশনকে ৮-১ গোলে, মনসাপীঠকে ৩-১ গোলে ও আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনকে ৪-১ গোলে পরাজিত করে। প্রতিযোগিতায় মোট ৫টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার সম্মান পায় পুরুলিয়ার বিশ্বদীপ সরকার। বিভিন্ন ম্যাচে প্রাক্তন ফুটবলার নিখিল নন্দী, বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম সরকার ও কার্তিক শেঠ উপস্থিত ছিলেন। বরাহনগর রামকৃষ্ণ মিশনের শতবর্ষ উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়।
|
বাঁকুড়ায় তিরন্দাজি |
|
‘জঙ্গলমহল মহিলা ফুটবল ও তিরন্দাজি প্রতিযোগিতা-২০১২’ র বাঁকুড়া জেলা পর্যায়ে খেলা শুরু হল গত রবিবার ও সোমবার বারিকুল থানা জোনে। এই প্রতিযোগিতার তিরন্দাজি বিভাগে প্রথম পর্যায়ের খেলা হয় বারিকুল হাইস্কুলে। অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় পুরুষ বিভাগে ১৮৪ জন এবং মহিলা বিভাগে ৮৬ জন যোগ দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বারিকুল থানার ওসি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-সহ বহু পুলিশ আধিকারিক। অন্য দিকে, এই প্রতিযোগিতার রানিবাঁধ জোনের তিরন্দাজি বিভাগের প্রথম পর্যায়ের খেলা গত বুধবার অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় দাঁড়কেডি ফুটবল মাঠে। পুরুষ ও মহিলা বিভাগে মোট ৯৪ জন যোগ দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রানিবাঁধ থানার আইসি মহম্মদ আজম আলি-সহ অনেকে। পুরুষ বিভাগ থেকে প্রথম পাঁচজন ও মহিলা বিভাগ থেকে প্রথম তিনজন সফল প্রতিযোগী জেলা স্তরের প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
|
সুব্রতকাপে চতুর্থ |
সুব্রত কাপ টুর্নামেন্টে মেয়েদের বিভাগে পুরুলিয়া জেলা রাজ্যের মধ্যে চতুর্থ স্থান দখল করল। বাঘমুণ্ডি বুড়দা উচ্চ বিদ্যালয় ওই টুর্নামেন্টে জেলা চ্যাম্পিয়ান হয়ে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল। সম্প্রতি কলকাতার বিধাননগর স্পোটর্স অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনালে তারা মুর্শিদাবাদের নসিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে ৬-০ গোলে পরাজিত হয়। তার আগে হলদিয়া ও নয়াগ্রামের দু’টি দলকে তারা পরাজিত করেছিল।
|
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা |
|
১৬-২০ জুলাই পুরুলিয়া সৈনিক স্কুলে অনুষ্ঠিত হল পূর্বাঞ্চলের আন্তঃসৈনিক স্কুল ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় পুরুলিয়া ছাড়াও নাগাল্যান্ডের পুঙ্গলওয়া, অসমের গোয়ালপাড়া ও মণিপুরের ইম্ফল সৈনিক স্কুল যোগ দিয়েছিল। ফুটবলে সেরার শিরোপা পায় ইম্ফল, ভলিবলে গোয়ালপাড়া এবং বাস্কেটবল ও হকিতে পুরুলিয়া সেরার শিরোপা পেয়েছে। প্রতিযোগিতায় চার রাজ্যের মোট ২৮০ জন প্রতিযোগি যোগ দিয়েছিলেন। বাস্কেটবল, হকি ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য ফলের নিরিখে পুরুলিয়া সৈনিক স্কুল প্রতিযোগিতার সেরা দলের সম্মান পায়।
|
মানবাজারে ফুটবল |
সুব্রত কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরুলিয়া জোনের খেলা সম্প্রতি শেষ হল মানবাজারে। অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগে হাওড়ার আজানগাছি হাই মাদ্রাসা ও অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া হাইস্কুল লিগ ভিত্তিক খেলায় ৭ পয়েন্ট করে পেয়ে যৌথ ভাবে এই জোনের চ্যাম্পিয়ান হয়। এখানে হাওড়া, বাঁকুড়া ও দুই মেদিনীপুর থেকে চারটি দল প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল। পুরুলিয়ার জেলা যুব কল্যাণ আধিকারিক বিকাশ মণ্ডল জানান, মানবাজারের রাধামাধব হাইস্কুল ও মানবাজার ব্লক অফিস লাগোয়া মাঠে ম্যাচদুলি হয়। ক্রীড়াপ্রেমী দর্শেকেরা ভিড় করেছিলেন।
|
ক্যারাটে প্রতিযোগিতা |
|
ক্যারাটে প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী হয়ে গেল আদ্রার কমিউনিটি হলে। সম্প্রতি আয়োজন করেছিল কিউকুশন ক্যারাটে সংস্থার পুরুলিয়া শাখা। দু’দিনের এই ক্রীড়ানুষ্ঠান মূলত জেলা স্তরের প্রতিযোগিতা হলেও যোগ দিয়েছিল কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বর্ধমান, মেদিনীপুর জেলা এবং পাশের রাজ্য ওড়িশার প্রতিযোগীরা। এলাকার শতাধিক প্রতিযোগীও যোগ দেয়।
|
ছবি: সুজিত মাহাতো, দেবব্রত দাস ও নিজস্ব চিত্র। |
|