মাদক খাইয়ে এক মহিলাকে দিঘার হোটেলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খানাকুলের বাসিন্দা ধৃত মহসিন খানকে মঙ্গলবার আরামবাগ আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে, দিন কুড়ি আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন ওই মহিলা। তাঁর স্বামী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই মহিলাকে দিঘার একটি হোটেলে রাখা হয়েছে। দিন দশেক আগে সেখান থেকে পোল গ্রামের ওই মহিলাকে উদ্ধার করে দিঘার পুলিশ। তিনি মহসিন খান, মণিরুল খান এবং শেখ পলাশ নামে তিন যুবকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। এই তিন জন এলাকায় তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত। সোমবার রাতে পুলিশের পাশের গ্রাম থেকে মহসিন খানকে গ্রেফতার করে। ধৃতের অবশ্য দাবি, ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর ‘সম্পর্ক’ দীর্ঘদিনের। ওই মহিলা ‘স্বেচ্ছায়’ তাঁর সঙ্গে দিঘায় গিয়েছিলেন। অন্য দিকে, ওই মহিলার দাবি, তাঁকে হোটেলে আটকে রেখে ব্যবসাও চালিয়েছে ওই তিন যুবক। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সাহাজামাল মল্লিক বলেন, “ধৃত যুবকের সঙ্গে ওই মহিলার সম্পর্ক ছিল। বাকি দু’জন আমার অনুগামী বলে মিথ্যা অভিযোগে তাদের ফাঁসানো হচ্ছে। তদন্তে সব প্রমাণ হবে।”
|
ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেলেন যুবক-যুবতী। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শেওড়াফুলি ও দিয়ারা স্টেশনের মাঝে। রেল পুলিশ জানায়, ডাউন তারকেশ্বর লোকালে কাটা পড়ে মারা যান ওই দু’জন। তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি। যুবকের বয়স আনুমানিক ২৩ বছর। মেয়েটি বছর আঠারোর। ছেলেটির পরনে ছিল জিনস ও ধূসর জামা। মেয়েটির পরনে বাদামী রঙের সালোয়ার-কামিজ। দু’টি দেহই উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে রেল পুলিশ। ওই দু’জনের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
|
প্রতিবেশী নবম শ্রেণির ছাত্রীকে খুন করার দায়ে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া ফাস্ট ট্র্যাক-১ কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মুকুলকুমার কুণ্ডু এই রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তের নাম শেখ রাজা। বাড়ি উলুবেড়িয়ার মহেশপুরের পালোড়া গ্রামে। একই সঙ্গে দোষীর ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এ ছাড়া, প্রমাণ লোপ এবং ওই ছাত্রীর কানের দুল ছিনতাই এই দু’টি অপরাধের জন্য আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই মামলার সরকারি আইনজীবী পীযূষকান্তি গুহ। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১০ সালের ২৪ অগস্ট সকালে আমিনা খাতুন নামে ওই ছাত্রী টিউশন নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। সে সময়ে শেখ রাজা তাকে জোর করে তুলে নিয়ে তার বাড়ির পাশের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। তার পরে তার কানের দুল ছিনতাই করে। মেয়েটি চিৎকার করলে তাকে খুন করে হোগলা বনে ফেলে রেখে কাকদ্বীপে তার বোনের বাড়িতে পালিয়ে যায়। আমিনার বাবা শেখ আজিজুর উলুবেড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
|
সম্প্রতি উলুবেড়িয়া জগৎপুর আদর্শ বিদ্যালয়ে দু’দিন ব্যাপী বাৎসরিক উৎসব হয়ে গেল। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা নাচ, গান, আবৃত্তি, আলোচনাসভা ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় যোগ দেয়। সামিল হয় প্রতিবন্ধী শাখার ছাত্রছাত্রীরাও। এ ছাড়া, ওই স্কুলের মাধ্যমিকে কৃতী ছাত্র জয়দেব পান এবং উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতী প্রসেনজিৎ করাতিকে পুরস্কৃত করা হয়।
|
স্কুলে হানা দিয়ে কয়েক হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাতে গোঘাটের উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, ছাত্রছাত্রীদের ‘মেধা অন্বেষণ পরীক্ষা’র সাড়ে তিন হাজার টাকা রাখা ছিল স্কুলের অফিসঘরের আলমারিতে। প্রধান শিক্ষক উত্তম মণ্ডল বলেন, “লোহার গেট ভেঙে স্কুলে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। সমস্ত ঘরের তালা ভাঙা। আলমারি ভেঙে সমস্ত টাকা লুঠ করেছে তারা।”
|
ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত কাশীনাথ মণ্ডলের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৯৭-এর ৩০ অক্টোবর নিজের প্রতিবেশী এক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করেন হুগলির বাসিন্দা কাশীনাথ। বিচারপতি এস এস নিজ্জর ও রঞ্জনা প্রকাশ দেশাই তাঁদের রায়ে মঙ্গলবার জানিয়েছেন, এই ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই। কিন্তু অভিযুক্তের মা নিজের ছেলের বিপক্ষে বয়ান দিয়েছেন। এমন কাজ ছেলে না করে থাকলে কোনও মা-ই নিজে থেকে এই অপরাধের সঙ্গে ছেলেকে জড়াতেন না। |