স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক পরীক্ষার্থীকে চড় মারার অভিযোগে কান্দি থানার পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। তবে সোমবার সন্ধে পর্যন্ত ওই শিক্ষকের খোঁজ মেলেনি।
রবিবার শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা রেহেনা পারভিন নামে ওই পরীক্ষার্থী কান্দি থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর জানান, গোকর্ণের নিত্যগোপাল গার্লস হাইস্কুলের ওই শিক্ষকের খোঁজ মেলেনি। তাঁর সঙ্গে কথা বলেই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে এগোতে চায় বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
গোকর্ণের ওই স্কুলে যে ঘরে রেহেনা পরীক্ষা দিচ্ছিলেন সেখানে আরও ২৭ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার মধ্যে ১৫ জন ওয়ার্ক এডুকেশনের। বাকিরা ইতিহাসের। রেহেনা ওয়ার্ক এডুকেশনের পরীক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর কথায়, “নির্দিষ্ট সময়ের ১০ মিনিট পরে ১১.১০ মিনিট নাগাদ, আমাদের ঘরে প্রশ্নপত্র আসে। হাতে পেতে আরও কয়েক মিনিট। পরীক্ষার্থী সকলেই বাড়তি ১০ মিনিট সময় চেয়েছিলেন। পীক্ষক হিসেবে যাঁরা ছিলেন তাঁরা সে সময়ে কিছু বলেননি। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হতেই খাতা প্রায় কেড়ে নিতে থাকেন। আমি বাধা দিই। তখন ওই শিক্ষক আমার গালে চড় মারেন সপাটে।”
রেহানার কথায়, “স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে জানালে বিষয়টি নিয়ে তিনি বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। যা শুনে আমার অত্যন্ত খারাপ লেগেছে। এক জন শিক্ষিকা এই ধরণের মন্তব্য করেন কিভাবে?” বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে প্রধান শিক্ষিকা অবশ্য ফোন ফোন ধরেননি। তাঁর স্বামী ফোন ধরে ‘তিনি বাড়িতে নেই। এক ঘন্টা পরে কথা বলুন’ বলে জানান। ঘন্টা খানেক পরেও প্রধান শিক্ষিকার ফোনে কোনও সাড়া মেলেনি।
অভিযুক্ত শিক্ষক অবশ্য জানান, নির্দিষ্ট সময়েই প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়ে ছিল। তা সত্ত্বেও পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা বাড়তি দশ মিনিট চাইছিলেন। তিনি বলেন, “তাঁদের ওই বেআইনি আব্দার মেনে নিইনি বলেই সমস্যা। এর পরেই ওই পরীক্ষার্থী চড় মারার গল্প ফেঁদে স্কুলে হইচই শুরু করেন।”
স্কুল সার্ভিস কমিশনের উত্তরাঞ্চলের চেয়ায়রম্যান আবদুল ওয়াহাব অবশ্য বলেন, “বিষয়টি ওই শিক্ষকের সহানুভূতির সঙ্গে দেখা উচিত ছিল।”
বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার। ট্রেনের ধাক্কায় মারা গিয়েছেন ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ। সোমবার পূর্বরেলের আজিমগঞ্জ-ফরাক্কার সুজনিপাড়া স্টেশনের কাছে রেল লাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ওই মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের পরিচায় জানার চেষ্টা চলছে। |