পাম্প হাউসের যন্ত্রাংশ পুড়ে যাওয়ায় পাঁচ দিন ধরে জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে মুরারই থানার চাতরা, কোপা, হাবিসপুরে। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। মুরারই ২ ব্লকের বিডিও অরূপ দত্ত বলেন, “চাতরা ও রুদ্রনগর গ্রাম দু’টির জন্য জল প্রকল্প ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে ছিল। সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। তবুও এলাকাবাসীর সমস্যার কথা ভেবে ব্লক স্তর থেকে চাতরা গ্রামের পাম্পহাউসের যন্ত্রাংশ মেরামতি করতে ৪০ হাজারের বেশি টাকা খরচ হয়েছে। ব্লক থেকে আর খরচ করা যাচ্ছে না। বিষয়টি জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের বিভাগীয় আধিকারিকের নজরে আনা হয়েছে।” চাতরা পঞ্চায়েত প্রধান নুরুল ইসলাম বলেন, “পাম্প হাউসের যন্ত্রাংশ পুড়ে যাওয়ার জন্য চরম সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার।” জনস্বাস্থ্য করিগরী দফতরের মুরারই ব্লকের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র সুদীপ্ত মাহাতো বলেন, “টাকার অভাবে চাতরা পাম্প হাউসের যন্ত্রাংশ বদল করা হচ্ছে না। আপাতত অস্থায়ী ভাবে যন্ত্র মেরামতি করার চেষ্টা চলছে।”
|
এই দৃশ্য কোনও নতুন নয়। প্রতি বছর বর্যায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের মধ্যে থাকা শাল ও হিংলো নদীর কজওয়ে ছাপিয়ে জল বয়ে যায়। কজওয়ের উপর জল বেড়ে গেলে দু-একদিন বন্ধ থাকে আসানসোল-সিউড়ি, আসানসোল-খয়রাশোল বা আসানসোল-রাজনগর রুটের যান চলাচল। এ ছাড়াও অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটে। সম্প্রতি সংস্কার ও প্রশস্ত করার কাজ শেষ হয়েছে রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের রানিগঞ্জ-দুবরাজপুর অংশটুকুর। কিন্তু খয়রাশোল ব্লকে অবস্থিত শাল ও হিংলো নদীর কজওয়েগুলিতে হাত পড়েনি। ফলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল এ বারও। সে ভাবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় শাল নদীর কজওয়েতে জল না উঠলেও রবিবার রাত থেকে হাটু জল উঠল হিংলো-র কজওয়েতে। অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ ওই কজওয়ে ধরে একটি পাথর ভর্তি লরি ঝুঁকি নিয়ে যেতে গিয়ে মাঝখানে কাত হয়ে ফেঁসে যায়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। সোমবার বিকেল পর্যন্ত তাই বন্ধ ছিল বড় গাড়ির যাতায়াত। দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আশ্বাস খুব বেশিদিন এই কষ্ট ভোগ করতে হবে না মানুষকে। কারণ, ওই দু’টি সেতু নতুন করে তৈরি করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
|
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার রাতে নানুরের বাসাপাড়া বাজার এলাকা থেকে ২২৬ লিটার বেআইনি মদ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সেলুন মালিক সুভাস ভাণ্ডারি ও দেশলাই দোকানের মালিক কল্যাণ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার ধৃতদের বোলপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন।
|
এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে সোমবার সন্ধ্যায় ইফতার পার্টির আয়োজন করল ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ। উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাটের এসডিপিও দেবাশিস নন্দী-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ওসি সুবীর বাগ বলেন, “এসপি হৃষিকেশ মিনার নির্দেশে আমরা এই আয়োজন করেছিলাম। এ দিনের ইফতারে সব ধর্মের মানুষ যোগ দিয়েছিলেন।” |