স্কুলের ভবন নির্মাণের জন্য দু’লক্ষ টাকা নিজের সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে বরাদ্দ করেছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। কিন্তু সাত মাস পার হলেও প্রশাসন ওই টাকা খরচ না করায় সোমবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শতাব্দী।
এ দিন এলাকাবাসীর অভাব অভিযোগের কথা শুনতে মাড়গ্রাম থানার দুনিগ্রাম জুনিয়র বেসিক স্কুলে পৌঁছেছিলেন সাংসদ। সেখানে পৌঁছে তিনি দেখেন, ওই স্কুলের জন্য তাঁর অনুমোদিত দু’লক্ষ টাকার কোনও কাজই হয়নি। তা দেখে ক্ষুব্ধ শতাব্দী এ ব্যাপারে খোঁজখবর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন। সঙ্গী বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিষয়টি দেখার কথা বলেছেন তিনি। আশিসবাবু বলেন, “গত জানুয়ারিতে ওই স্কুলের ভবন নির্মাণের টাকা বরাদ্দ করে জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগও করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট রামপুরহাট ২ ব্লক থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়াতেই কাজ শুরু করা যায়নি।” আগামী সাত দিনের মধ্যে সমস্যা না মিটলে সংশ্লিষ্ট বিডিও-র বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, “বিডিও-র ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ পাওয়ার পরই পরবর্তী টাকা পাওয়া যায়। সাংসদের বরাদ্দ টাকা খরচ না করা গেলে সাংসদেরও অনেক অসুবিধা হয়।” যদিও রামপুরহাট ২ ব্লকের বিডিও সোমা সাউ-এর দাবি, “বরাদ্দ টাকাটা কোথায় ছিল এবং এ বিষয়ে যে আমাকেই একজিকিউটিভ এজেন্সি করা হয়েছে, তা আমি জানতাম না। সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের কাছে খোঁজ নিয়ে সমস্ত জেনেছি। ওই স্কুলের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
এ দিনই সাংসদ শতাব্দী রায় দুনিগ্রাম অঞ্চলের ভাঙলা কাঁদরে গিয়ে এলাকাবাসীর বহুদিনের সেতুর দাবিটি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। আশিসবাবু বলেন, “আমরা এ ব্যাপারে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী দাবি জানালেও কেন ভাঙলা কাঁদরের উপর সেতু নির্মাণের অনুমোদন মিলছে না সে ব্যাপারেও খোঁজ নেওয়া হবে।” সাংসদ এ দিন মাড়গ্রাম থানার বেশ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীর সমস্যার কথা শুনে দাবি পূরণের আশ্বাসও দেন। |