টুকরো খবর |
এসএসসি, বনগাঁ ও মগরাহাটে ভোগান্তি পরীক্ষার্থীদের |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
গোটা রাজ্যের মতোই দুই ২৪ পরগনাতেও এসএসসি পরীক্ষায় বিভ্রাটের শিকার হলেন পরীক্ষার্থীরা। প্রশ্নপত্র দেরিতে আসায় এবং উত্তরপত্র কম থাকায় উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার প্রফুল্লনগর বিদ্যামন্দিরে নির্ধারিত সময়ের সোয়া এক ঘণ্টা পরে পরীক্ষা শুরু হয়। বিদ্যালয় সূত্রের খবর, স্কুলে প্রশ্নপত্র পৌঁছয় ১০টা ৪০ মিনিটে। এত অল্প সময়ে প্রশ্নপত্র বাছাই করে তা বিলি করা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি, ১২০টি উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) কম ছিল। এডুকেশন বিষয়ের প্রশ্নপত্র পৌঁছয়নি। স্কুলের প্রধানশিক্ষক তথা এসএসসি-র হাবরা-অশোকনগরের নোডাল অফিসার সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, “প্রশ্নপত্র অনেক আগে আসার কথা থাকলেও তা দেরিতে পৌঁছয়। যখন তা আসে তার পরে মাত্র ১৫ মিনিট সময় ছিল। ফলে ১২টা ১০ মিনিটে পরীক্ষা শুরু করতে হয়। ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা চলে।” গোবরডাঙার দু’টি স্কুল এবং বনগাঁর একটি স্কুলে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শুরু করা যায়নি। গোবরডাঙায় দু’টি স্কুলে প্রশ্নপত্র কম ছিল। বনগাঁর স্কুলটিতে প্রশ্নপত্র বাছাইয়ে দেরি হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমায় অ্যাডমিট কার্ডে পরীক্ষাকেন্দ্রের ঠিকানা ভুল থাকায় দুর্ভোগে পড়েন বেশ কিছু পরীক্ষার্থী। পরে মহকুমাশাসকের উদ্যোগে সময়সূচি বদল করে তাঁদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র ছিল মগরহাটের মোহনপুর কে কে জি সি ইনস্টিটিউশন। কিন্তু বেশ কিছু পরীক্ষার্থী দেখেন, অ্যাডমিট কার্ডে মগরাহাটের পরিবর্তে ডায়মন্ড হারবার লেখা রয়েছে। তাঁরা ডায়মন্ড হারবারে চলে যান। কিন্তু সেখানে দেখেন, ওই নামে কোনও স্কুল নেই। তখন তাঁরা মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন। মহকুমাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, “ওই পরীক্ষার্থীদের বাসে করে মগরাহাটে সঠিক পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠানো হয়। দুপুর ২টো ১৫ মিনিট থেকে ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হয়।”
|
হাড়োয়ায় বধূকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত ১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
নাবালক তিন সন্তানের সামনে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁর জ্যাঠতুতো শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে হাসনাবাদ থেকে ফকির আলি নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে হাড়োয়া থানার পুলিশ। ধৃতকে বসিরহাট এসিজেএমের আদালতে তোলা হলে বিচারক ৩ দিনেক পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২০ জুলাই হাড়োয়ার কেন্দুয়া খালের পাশে একটি বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। পেশায় মাছ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গির হোসেন স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে সেখানে থাকতেন। গ্রামে একটি রাস্তা নিয়ে ফকির আলির সঙ্গে জাহাঙ্গিরের বিবাদ চলছিল। ঘটনার দিন ভোর রাতে জাহাঙ্গির কাজে বেরিয়ে গেলে সেই সুযোগে ফকির তাঁর বাড়িতে ঢুকে সাবিনা বিবি নামে ওই মহিলার উপরে অত্যাচার চালিয়ে তাঁকে খুন করে বলে অভিযোগ। সাবিনার বড় ছেলে সাত বছরের আলমগীর ছিল প্রত্যক্ষদর্শী। পরে পুলিশের কাছে সে ফকির আলির নাম জানায়। পুলিশের দাবি, ধরার পড়ার পরে জেরায় ফকির আলি অপরাধ স্বীকার করেছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
|
বাদুড়িয়ায় ডাকাতি, আটক দুষ্কৃতীদের ব্যবহৃত গাড়ি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
বাদুড়িয়ায় দিন কয়েক আগে পর পর তিনটি গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় দুষ্কৃতীদের ব্যবহৃত গাড়িটি আটক করল পুলিশ। এই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিল হাবিব মণ্ডল নামে এক দুষ্কৃতী। বিচারকে নির্দেশে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পরে জেরা করে গাড়িটির খোঁজ পায় পুলিশ। শনিবার রাতে স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকা থেকে গাড়িটি আটক করা হয়। ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে তারা বাংলদেশে পালিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। পুলিশ সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে বাদুড়িয়ার উমাপতিপুর, হুগলি ও খাসপুর গ্রামে তিনটি বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ডাকাতির পরে একটি সাদা গাড়িতে চড়ে তারা পালিয়ে যায়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে ৬ জনের ওই দুষ্কৃতীদলে একজন বাংলাদেশি রয়েছে। স্থানীয় দুষ্কৃতী হাবিব মণ্ডল তাদের জড়ো করে লুঠপাট চালায়।
|
সরকারের সমালোচনায় বাম শিল্পী সংগঠন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
|
সম্মেলনে আদিবাসী নৃত্যের অনুষ্ঠান। ছবি: নির্মল বসু। |
বন্দুকের গুলি নয়, মোকাবিলা করতে হবে গান দিয়ে। রবিবার বসিরহাটে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী ও লোকশিল্পী সঙ্ঘ-র জেলা সম্মেলনে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মোজাফ্ফর হোসেন এমনটাই জানালেন। তিনি বলেন, “অত্যাচারের ভয় দেখিয়ে নিজেদের দিকে টানার জন্য পঞ্চায়েত অর্ধেক মহিলা আসন রাখা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মনে রাখতে হবে বন্দুকের গুলি নয়, ওদের মোকাবিলা করতে মানুষের ঘুম ভাঙাতে হবে সুর, বাদ্যযন্ত্র ও গান দিয়ে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সন্দেশখালির বিধায়ক নিরাপদ সর্দার, মালিনী ভট্টাচার্য, সুবোধ দে, নিরঞ্জন সাহা, পুলিনবিহারী বাস্কে, নেপালদেব ভট্টাচার্য প্রমুখ সিপিএম নেতৃত্ব।
|
গাঁজা-সহ ধৃত তিন দুষ্কৃতী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
গাঁজা বিক্রি করতে এসে বসিরহাটে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল এক বাংলাদেশি। তার সঙ্গে থাকা আন্তর্জাতিক গাড়ি পাচার চক্রের অন্যতম পাণ্ডা ও তার সাগরেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে বসিরহাটের লবঙ্গ গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আরসাদ আলি, ঝণ্টু গাজি ও কুদ্দুস মোল্লা। এদের মধ্যে আরসাদ আলির বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষিরা জেলার উত্তর ভাদলি গ্রামে। ঝণ্টুর বাড়ি স্বরূপনগরের হাকিমপুরে ও কুদ্দুস স্বরূপদহ গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে ১০ কিলোগ্রাম গাঁজা, ৫ হাজার টাকা এবং একটি গাড়ি আটক করা হয়েছে।
|
বাদুড়িয়ায় স্কুলে চুরি |
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাদুড়িয়া |
|
— নিজস্ব চিত্র। |
প্রধান শিক্ষিকার ঘরের তালা ভেঙে কয়েকটি আলমারি ও শিক্ষিকাদের ব্যক্তিগত লকার ভেঙে টাকাকড়ি লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার আগে তারা স্কুলের জরুরি বেশ কিছু নথিপত্রও নষ্ট করে বলে অভিযোগ। বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়ায় এলএমএস গার্লস হাইস্কুলে শনিবার রাতে ওই হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। রবিবার পুলিশ স্কুলে যায়। স্কুলে নির্মাণের কাজ চলছে। পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা মনে করেছিল নির্মাণ কাজে কারণে স্কুলে প্রচুর টাকা রয়েছে। সেই কারণেই তারা হামলা চালায়। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে স্কুলের গেট খোলা দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। এসে পৌঁছন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা-সহ অন্য শিক্ষিকারা এবং পরিচালন সমিতির সদস্যরা। দেখা যায়, দুষ্কৃতীরা আলমারি-সহ শিক্ষিকাদের ব্যক্তিগত কয়েকটি লকারের পাশাপাশি কম্পিউটার ঘরের তালাও ভেঙেছে। স্কুলের কিছু জরুরি নথিও নষ্ট করেছে তারা। যার মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার খাতাও রয়েছে।
|
ফুটবল প্রতিযোগিতা ও চক্ষু পরীক্ষা শিবির |
|
— নিজস্ব চিত্র। |
সাধারণ মানুষের সঙ্গে সমন্বয় আরও বাড়াতে ফুটবল প্রতিযোগিতা ও চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী, গোসাবা ও সুন্দরবন কোস্টাল থানার যৌথ ওয়েলফেয়ার কমিটি। কলকাতার বিখ্যাত চক্ষু পরীক্ষা কেন্দ্র শংকর নেত্রালয়ের সহায়তায় শনিবার ও রবিবার গোসাবার দয়াপুরে অনুষ্ঠিত হয় ওই শিবির। শিবিরে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করে চশমা দেওয়া হয়। অন্তত ৪০০ জন দুঃস্থ মানুষের চক্ষু পরীক্ষা করা হয়। যাঁদের চোখে ছানি আছে তাঁদের কলকাতায় নিয়ে গিয়ে বিনামূল্যে অস্ত্রপচারের ব্যবস্থা করা হবে জেলা পুলিশের তরফে। এর পাশাপাশি সুন্দরবনের জঙ্গলে চোরাশিকারি ও বাংলাদেশি জলদস্যুদের সম্পর্কে খবর জানতে মৎস্যজীবীদের নিয়ে ‘সমন্বয় কাপ ২০১২’ ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ফাইনালে মুখোমুখি হয় কুমিরমারি মৎস্যজীবী সংগঠন ও লাহিড়ীপুর মৎস্যজীবী সমিতি। কুমিরমারি ১-০ গোলে জয়ী হয়। বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। রানার্স দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলার পুলিশ সুপার প্রবীন ত্রিপাঠি। |
|