আন্তর্জাতিক আর্থিক সঙ্কট এমনিতেই শ্লথ করেছে দেশের অর্থনীতির চাকা। এই পরিস্থিতিতে ভারতে বর্ষার ঘাটতির জের মারাত্মক হতে পারে বলে আশঙ্কা শিল্পমহলের। যার হাত থেকে বাঁচতে আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে সরকারকে অবিলম্বে কিছু পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে তারা।
বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম ও সি আই আইয়ের আশঙ্কা, ‘প্রায় খরা’র মতো এই পরিস্থিতি কর্মসংস্থান, আয় ও খাদ্যপণ্যের দামে বড়সড় প্রভাব ফেলবে। কৃষকদের সেই কোপ থেকে রক্ষা করার কৌশল হিসেবে কেন্দ্রকে ১৫টি প্রস্তাব দিয়েছে অ্যাসোচ্যাম। এর মধ্যে আছে: কৃষি উৎপাদনে খরচ কমাতে আর্থিক সাহায্য, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বেআইনি মজুত আটকানো, কৃষকদের কর্মসংস্থানে বিকল্প পথ নির্দেশ, ভর্তুকিতে ডিজেল, শস্য বিমার অর্থ দিতে দেরি না-করা ইত্যাদি।
একই সুরে সুপারিশ এসেছে সিআইআইয়ের থেকেও। এই বণিকসভার ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, গ্রামের মানুষের বেঁচে থাকা সুরক্ষিত করতে এখনই পদক্ষেপ করুক সরকার। জোগান ব্যবস্থার উন্নতি, পাইকারি ও খুচরো বাজারের দামে ফারাক কমাতে সরাসরি কৃষকদের থেকে পণ্য কেনায় জোর দেন তিনি। কৃষকদের সরাসরি খুচরো বিক্রেতা ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থাকে পণ্য সরবরাহের সুবিধা, খরা প্রতিরোধক বীজ এনে বৃষ্টি-নির্ভরশীলতা কমানো, কৃষি -পণ্যে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির পক্ষেও সওয়াল করে সিআইআই।
এ দিকে, আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিশেষ বিভাগ গড়ল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। মন্ত্রকটির অন্যতম আর্থিক উপদেষ্টা দীপক দাশগুপ্তের নেতৃত্বে গঠিত ওই বিভাগ পরিবেশ মন্ত্রককে এ ক্ষেত্রে অর্থ জোগানের মতো বিষয়ে দিশা দেখাবে।
|
• আনন্দ ত্রিবেদী এমএমটিসি-র বিপণন সংক্রান্ত ডিরেক্টর হয়েছেন।
• অভিজিৎ রায় বার্জার পেন্টস-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্ব নিয়েছেন।
• ফ্র্যাঙ্ক পিটার্স সিপ্লা-র ইউরোপীয় ব্যবসার প্রধান হলেন। |