পর পর দুই কন্যা সন্তান হওয়ায় সদ্য-প্রসূতি জাহিরন বিবির (২৫) উপরে ক্রমেই বেড়ে উঠেছিল শ্বশুরবাড়ির অত্যচার। অকথ্য গালিগালাজের পাশাপাশি উঠছিল গায়ে হাতও। শ্বশুর-শাশুরি-ননদের পাশাপাশি সে অত্যাচারে সামিল হত স্বামীও। কিন্তু পড়শিরা ভাবতে পারেননি যে কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার ‘শাস্তি’ হিসেবে শেষ. পর্যন্ত পুড়িয়ে মারা হবে জাহিরনকে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মালদহের মহিষবাথানির খেজুরবোনা গ্রামে তাই জাহিরনের বাড়িতে ধোঁয়া বের হতে দেখেও তাঁরা তেমন আমল দেননি। পরে ওই মহিলার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ততক্ষণে পালিয়েছে শ্বশুরবাড়ির সকলেই। তাঁরাই দগ্ধ জাহিরনকে ভর্তি করেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রাতে সেখানেই মারা যান তিনি। জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল শনিবার বলেন, “অভিযুক্তরা সবাই পালিয়েছিল। তবে পুলিশ অন্য গ্রামে হানা দিয়ে জাহিরনের দুই ননদকে গ্রেফতার করেছে।” সাত বছর আগে, খেজুরবোনার সেরাজুল ইসলামের সঙ্গে কদমতলীর জাহিরনের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। তারপর ফের কন্যা সন্তান। মহিলার মা আইসানুর বিবি বলেন, “দ্বিতীয় কন্যা সন্তান হওয়ার পর থেকে আমার জামাই ও তাঁর শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা মেয়ের উপর অত্যাচার বাড়িয়ে দেয়। ওই দিন মেয়ের স্বামী ও অন্যারা জাহিরনের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।” জাহিরনের ৫ বছরের মেয়ে তামান্নাও এমনই জানিয়েছে পুলিশকে। |