জলে আর্সেনিক, নলকূপ বন্ধ করে দিল পুরসভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শহরের যে সব নলকূপের জলে বিপদমাত্রার উপরে আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি ‘সিল’ করে দিল কলকাতা পুরসভা। শনিবার পুরসভার মেয়র পারিষদ (নলকূপ) তারক সিংহ বলেন, “জরুরি ভিত্তিতে ওই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য পানীয় জলের গাড়ি পাঠানো হবে।” সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ যাদবপুর ও গল্ফগ্রিন এলাকার কয়েকটি নলকূপের জলে বিপদমাত্রার উপরে আর্সেনিক পেয়ে সেই রিপোর্ট জমা দেয় পুরসভাকে। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় সেই রিপোর্টকে কোনও গুরুত্বই দেননি। কিন্তু তাঁর মেয়র পারিষদ তারকবাবু পরীক্ষা করা নলকূপের জলের নমুনা রাজ্য দূষণ পর্ষদ, রাজ্য জল অনুসন্ধান দফতর (সুইড) এবং পুরসভার নিজস্ব পরীক্ষাগারে ফের অনুসন্ধানের জন্য পাঠান। সব সংস্থার রিপোর্টেই নলকূপের জলের বিপদমাত্রার উপরে আর্সেনিক মিলেছে। এ দিন তারকবাবু জানান, যে পাঁচটি নলকূপের জলে আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে চারটিই পুরসভার নিজস্ব। এই নলকূপগুলি পুরসভার ৯৩ এবং ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে। ইতিমধ্যেই সে গুলি ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। বাকি একটি রয়েছে বেসরকারি আবাসনের মধ্যে। সেটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আবাসন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিকে, শহরের পানীয় জলে আর্সেনিক মেলায় জল বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আগামী ৩ অগস্ট বৈঠক করছে পুরসভা। তারকবাবু বলেন, “এ বার থেকে আবাসনের জন্য জলের লাইসেন্স দেওয়ার আগে ওই এলাকার জল পরীক্ষা করে দেখা হবে। জলে আর্সেনিক না থাকলে তবেই নলকূপ করার অনুমতি দেওয়া হবে।” কলকাতাবাসীর সুরক্ষার জন্যই এই ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
|
শহরে ডেঙ্গির জীবাণু মিলল ৬ জনের দেহে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বর্ষার মরসুম শুরু হতেই কলকাতা পুর এলাকার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জনের দেহে ডেঙ্গির জীবাণু মিলল। শনিবার কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গির সংক্রমণ রোধে ওই এলাকায় আজ, রবিবার থেকে ক্যাম্প খুলছেন পুর কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ, পুর কমিশনার খলিল আহমেদ-সহ পদস্থ অফিসারেরা ওই এলাকায় যান। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা খুবই খারাপ। জমা জলে ডেঙ্গির জীবাণু বাহক এডিস মশার দ্রুত বংশবৃদ্ধি হওয়ায় ওই রোগ ছড়াচ্ছে। স্থানীয় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ নিজেও জ্বরে আক্রান্ত। এ দিন তিনি বলেন, “আমার ওয়ার্ডের চক্রবর্তী পাড়া, রাজডাঙা স্কুল রোড, রাজডাঙা মেন রোড সহ কয়েকটি এলাকার অনেকেই জ্বরে ভুগছেন। পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রক্ত পরীক্ষায় ৬ জনের দেহে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেন, “ওই এলাকার অনেক জায়গায় নির্মাণের কাজ হচ্ছে। নিকাশি ব্যবস্থাও ভাল নয়। এ সবের কারণে ওখানে ডেঙ্গি বাহিত মশার লার্ভা বাড়ছে।” তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ টাস্ক ফোর্স কাজ শুরু করেছে। মশার বংশবৃদ্ধি দ্রুত রোধ করা সম্বব হবে। |