ডাক্তারি পড়ার ক্ষেত্রে আর বাধা রইল না কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রীর। তাঁর প্রতিবন্ধী শংসাপত্র নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় পড়াশোনার ভবিষ্যৎ নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, যে শংসাপত্র দেখিয়ে তিনি মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছেন, সেটি ভুয়ো। মেডিক্যাল কলেজও ওই শংসাপত্র বাতিল করে।
এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ছাত্রীটি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধীন এক হাসপাতালের শংসাপত্র অন্য হাসপাতাল কী ভাবে বাতিল করে, সেই প্রশ্ন তোলেন। হাইকোর্টের সিঙ্গল-বেঞ্চ তাঁর আবেদন খারিজ করলেও বিচারপতি প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি তরুণকুমার দাসের ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি রায় দিয়েছে, ওই শংসাপত্রটি ভুয়ো নয়। ফলে, পড়াশোনা নিয়ে ঘাটালের খড়ারের বাসিন্দা ওই ছাত্রী স্বস্তিকা মণ্ডলের যাবতীয় সংশয় দূর হল।
২০১১ সালে তিনি প্রতিবন্ধী সংরক্ষণে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পান। তার আগে ২০০৯-এ দুষ্কৃতীদের ছোড়া অ্যাসিডে জখম হয়েছিল ওই তরুণীর পা। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল তাঁকে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র দেয়। কিন্তু কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম-বর্ষে ভর্তির পরেই স্বস্তিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি প্রতিবন্ধী নন। তদন্ত শুরু করেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গঠিত হয় মেডিক্যাল বোর্ড। ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। বেঞ্চের বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে ২০০৯ সালের শংসাপত্রটি ভুয়ো না আসল, সেটা দেখাই জরুরি। দু’বছর পরে ছাত্রীটির শারীরিক অবস্থা কী হয়েছে, সেটা দেখা জরুরি নয়। গত ৫ জুলাইয়ের রায়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ছাত্রীটির কাছে যে শংসাপত্র রয়েছে, সেটি ভুয়ো নয়। ফলে, খড়ারের ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পড়া নিয়ে সংশয় দূর হল। |