|
|
|
|
অভিযোগ নেয়নি থানা, অফিসারের শাস্তি দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ফাঁসিদেওয়া থানার কোন অফিসার সুমতি বিশ্বাসের অভিযোগ জমা নিতে চাননি তাঁকে চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। পার্কস্ট্রিট ধর্ষণ কান্ড, সাতরাগাঁছি ধর্ষণ কান্ডের পর একই ধরণের অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেখানে ফাঁসিদেওয়ার ঘটনায় কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকী ওই থানার দায়িত্বে থাকা ওসি সূরজ থাপার ভূমিকাও খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “অভিযোগ না নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটার কথা নেই। আমরা সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ জমা নিই। তার পরে তা তদন্ত করে দেখা হয়। এক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখব।” বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। সেই সময় তাঁকেও বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান সুমিতার বাবা নিখিলবাবু এবং মা বিশাখা দেবী। রুদ্রনাথবাবু খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখতে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানো হয়েছে। থানায় কেন অভিযোগ নেওয়া হয়নি তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।” ফাঁসিদেওয়া থানার ওসি সূরজ থাপা অবশ্য দাবি করেছেন, ওই মহিলার পরিবারের লোকেরা অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়েছিলেন বলে তাঁর জানা নেই। তিনিও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার কথা বলেন। নিখিলবাবু জানান, গত ১৩ জুলাই ফাঁসিদেওয়া হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর সুমতি দেবী অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোগিণীকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় দিন কয়েক পর ওই ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে ফাঁসিদেওয়া থানায় যান সুমতি দেবীর স্বামী পতিতপাবনবাবু। সুমতি দেবীর বাবা নিখিলবাবু বলেন, “সুমতির স্বামী থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল। থানা থেকে অভিযোগ নেওয়া হয়নি।” এমনকী, থানার একাধিক অফিসার কার্যত তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পক্ষকাল জাতীয় জন্ম নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চলাকালীন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে বন্ধ্যাকরণের অস্ত্রোপচার করেছিলেন ফাঁসিদেওয়ার বাসিন্দা সুমতি বিশ্বাস। বন্ধ্যাকরণে অস্ত্রোপচার করার সময় বৃহদন্ত্রে ফুটো হয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। অসুস্থ সুমতি দেবী বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহদন্ত্রের ফুটো দিয়ে মল বেরিয়ে পেটের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে সংক্রণ সৃষ্টি করছিল। সম্প্রতি মেডিক্যাল কলেজে ‘আইলিওস্টোমি’ অস্ত্রোপচার করে তা পরিষ্কার করা হয়েছে। শরীরের বাইরে লাগিয়ে দেওয়া বিশেষ থলিতে মল জমা হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজের সুপার সব্যসাচী দাস জানান, সুমতিদেবীর সুস্থ হতে সময় লাগবে। |
|
|
|
|
|