অলিম্পিকে নামার আগে দুর্ভাগ্য তাড়া করে চলেছে বাংলার শ্যুটার জয়দীপ কর্মকারকে।
জার্মানিতে অনুশীলন চলাকালীন শ্যুটিং রেঞ্জ থেকে তাঁর দুর্মূল্য বিশেষ ধরনের ‘এলি’ গ্রুপের গুলির বাক্স চুরি হয়ে যায়। ফলে বিমর্ষ জয়দীপকে লন্ডনে তাঁর কাছে থাকা পুরনো গুলি দিয়েই অনুশীলন করতে হচ্ছে। এর আগে অভিনব বিন্দ্রার কোচের কাছে অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিতে জার্মানিতে যাওয়ার আগে অযথা তাঁর ফেডারেশনের গাফিলতিতে প্রয়োজনীয় বিদেশি মুদ্রা পেতে দেরি হওয়ায় মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছিল।
জয়দীপের দুর্মূল্য গুলির বাক্স চুরি যাওয়ার ঘটনা গত কাল রাতে মিত্তল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রাস্টের সিইও মণীষা মলহোত্রর থেকে জানা যায়। মণীষা বললেন “জার্মানির হ্যানোভারে ট্রেনিং-কাম-কম্পিটিশনের সময়ই শুটিং রেঞ্জ থেকে জয়দীপের মূল্যবান গুলির বাক্স চুরি হয়ে যায়। রেঞ্জ থেকে চুরি হওয়াটা সত্যিই দুর্ভাগ্যের।”
যদিও এ রকম দুর্ঘটনা নতুন নয়। অভিনব বিন্দ্রা ও মানবজিৎ সাঁধুর ভাগ্যেও এ রকম ঘটেছিল। লন্ডনে ফোনে যোগাযোগ করলে জয়দীপ বললেন, “ঘটনাটা একদম ঠিক। কী আর করা যাবে বলুন? দুঃখের ব্যাপার ওই বিশেষ গ্রুপের গুলি অনেক খোঁজ করেও আর যোগাড় করতে পারলাম না। ৫০-মিটার রাইফেল শু্যটিংয়ে এলি গ্রুপের গুলি খুব কার্যকর। যাই হোক এখন আর দুঃখ করে কী লাভ! আমার কাছে যে পুরনো গুলি রয়েছে সেগুলো দিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
এর পরেও জয়দীপ কিন্তু ভেঙে পড়েননি। “এখন আর এ সব নিয়ে ভেবে কিছু হবে না। তাই ঘটনাটা ভুলে যেতে চাই। আমার কাছে যত গুলি রয়েছে তা পর্যাপ্ত। সেগুলো দিয়েই পুরোদমে অনুশীলন করছি। আশা করছি দেশবাসীকে নিরাশ করব না। চুরির ঘটনাটা আমার মনোবলে একটুও চিড় ধরাতে পারেনি। আমার ইভেন্ট ৩ অগস্ট। ওই দিনটার দিকেই এখন তাকিয়ে আছি।” দুর্ঘটনার কথা জয়দীপ ভারতীয় শ্যুটিং দলের কোচ সান্নি থমাসকে পর্যন্ত জানাননি। মণীষার থেকে সেটা জানার পর জয়দীপদের কোচ বললেন “এটা খুব বিশ্রী ব্যাপার হল। ভাল ‘অ্যামুনেশন’ (গুলি-বন্দুক ইত্যাদি) সব শ্যুটারের কাছেই অতি মহার্ঘ্য। মনের মতো ‘অ্যামুনেশন’ না পেলে মেজাজটাই নষ্ট হয়ে যায়। জয়দীপের ক্ষেত্রে ইভেন্টের দিন খারাপ কিছু না হলে ভাল।”
|