ইস্টবেঙ্গলের ‘ভারত গৌরব’ সম্মান পেয়ে আপ্লুত কিংবদন্তি আমেদ খান। শুক্রবারই সরকারি ভাবে এই ঘোষণা করল ইস্টবেঙ্গল। এবং তার কিছুক্ষণের মধ্যে স্ত্রী রাবিয়া খানের সাহায্যে বেঙ্গালুরু থেকে আমেদ খান বললেন, “দারুণ অনুভূতি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব যে আমার কথা ভেবেছে, তার জন্য গর্বিত।”
হাঁটুর ব্যথায় কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারেন না। ক’দিন আগে অসুস্থ হয়েছিলেন। তবু ৮৫ বছরের আমেদ খান বুধবার ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবসে আসছেন তাঁর ছেলে মজিদকে নিয়ে। প্রায় পাঁচ-ছয় বছর পরে। আমেদ খানের স্ত্রী বলছিলেন, “আমরা খুব চিন্তায় আছি। বয়স হয়েছে। তার ওপর এত দূর যাওয়া-আসার ধকল। কিন্তু ও কিছুতেই মানছে না। কলকাতায় ও যাবেই।”
মাঠের বাইরে টোলগে নিয়ে যতই মন কষাকষি চলুক না কেন, এ বারও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মোহনবাগানকে। দেখার, আমেদ খান দুই প্রধানকে আবার মেলাতে পারেন কি না।
আমেদ নিজে ফোন ধরার মতো জায়গায় নেই। তাঁর বাঙালি স্ত্রীই প্রশ্ন শুনে তাঁর সঙ্গে কথা বলে উত্তর দিচ্ছিলেন। ফুটবলকে আমেদ খান যা দিয়েছেন, তুলনায় তার বিনিময়ে খুব বেশি কিছু পাননি। একেবারে জীবনের শেষ লগ্নে এসে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয়। তবে এ সব নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই আমেদের। বরং রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। উনি যে এত ব্যস্ততার মধ্যেও ক্রীড়াবিদদের জন্য ভেবেছেন, এটাই তো অনেক।”
বুধবারের অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন আমেদ খান ক্লাবের পতাকা তুলে। প্রধান অতিথি সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ আমেদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। আমেদ ছাড়াও সারা জীবনের স্বীকৃতির পুরস্কার দেওয়া হবে শান্ত মিত্র এবং প্রশান্ত সিংহকে। সংবর্ধনা জানানো হবে ইলিয়াস পাশাকেও। শুক্রবার ক্লাব তাঁবুতে সচিব কল্যাণ মজুমদার বলেন, “পাশা কোনও দিন কিছু চায়নি। এখন ওর অবস্থা খুব খারাপ। বেঙ্গালুরুতে অটো চালায়। আমরা তাই ওর পাশে দাঁড়াতে চাই।” |