|
|
|
|
মজুরি না-পেয়ে বিক্ষোভ নারায়ণগড়ের পঞ্চায়েতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করেও মজুরি না-মেলার অভিযোগ অব্যাহত। মজুরি না পেয়ে শুক্রবার শ্রমিক-বিক্ষোভের ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের রানিসরাই পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েতটি সিপিএম পরিচালিত। আর এ দিন যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাঁদের অনেকেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, জেলার প্রায় সব পঞ্চায়েতেই একই রকম সমস্যা রয়েছে। জেলা থেকে যে ভাবে টাকা আসে, সে ভাবেই শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হয়। এ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে অনভিপ্রেত ঘটনা অবশ্য ঘটেনি।
শ্রমিকদের সমস্যার কথা মেনে রানিসরাইয়ের পঞ্চায়েত প্রধান গৌতম মল্লিক বলেন, “সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই জানিয়েছি। অর্থ এলেই মজুরি মিটিয়ে দেওয়া হবে।” এই এলাকায় মজুরি বাবদ প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে বলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। বর্তমান সঙ্কটের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষও। তাঁদের বক্তব্য, সরকার প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করছে না। ফলে পঞ্চায়েত প্রধানদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। বকেয়া টাকা সুদ-সহ শ্রমিকদের দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে মজুরি বকেয়া থাকছে। এই পরিস্থিতি চলতে পারে না। শ্রমিকদের সুদ-সহ বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া উচিত।”
জেলা-প্রশাসন সূত্রের খবর, একশো দিনের প্রকল্পে এ বার জেলার জন্য যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ হয়েছে, খরচ হয়েছে তার চেয়ে বেশি। কাজ শেষে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া যাচ্ছে না। অর্থ না-থাকায় বিভিন্ন এলাকায় কাজও ব্যাহত হচ্ছে। এখনও প্রায় ২০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে নারায়ণগড়ে প্রায় ২ কোটি, দাঁতন ১-এ ৫ কোটি, ডেবরায় ২ কোটি, সবংয়ে ৩ কোটি, পিংলায় প্রায় ১ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে। একশো দিনের প্রকল্পের জেলার নোডাল অফিসার প্রিয়াঞ্জন দাস বলেন, “প্রয়োজনীয় অর্থ চাওয়া হয়েছে। অর্থ এলেই ব্লকগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।” জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি দু’টি পর্যায়ে জেলার জন্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ওই টাকা ব্লকে পাঠানো হচ্ছে। ফলে মজুরি সমস্যা কিছু দিনের মধ্যে মিটে যেতে পারে। |
|
|
|
|
|