রাজধানী গুয়াহাটির রাস্তায় শ্লীলতাহানির ঘটনায় ১৫ তম অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আজ বাইহাটা চারিয়ালি থেকে রুবুল আলি নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তাকে পুলিশ হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, বেনারস থেকে ধরা পড়া অমরজ্যোতি কলিতাকে আজ কড়া প্রহরায় কামরূপ সিজেএম আদালতে নিয়ে আসা হয়। গত কাল কলিতাকে গুয়াহাটি নিয়ে আসা হয়েছে। আদালত চত্বরে কলিতার উপরে যাতে ক্ষিপ্ত জনতা চড়াও হতে না পারে, সে জন্য পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছিল।
অন্য দিকে, গত কাল শিবসাগরে সেনা জওয়ানের হাতে কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনার প্রতিবাদে ২২টি সংগঠন মিলিতভাবে ‘অর্ধনগ্ন’ হয়ে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। ১৩ জুলাই ডিমৌ এলাকার ডলপায়, এ কে উপাধ্যায় নামে এক জওয়ান ২২ বছর বয়সী ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছিল। তাঁকে হাতেনাতে ধরে, গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় জনতা। দোষী সেনা জওয়ানের অবিলম্বে কড়া শাস্তির দাবিতে ২২টি সংগঠনের সদস্যরা গত কাল দুপুরে উর্ধাঙ্গ অনাবৃত করে মিছিল করেন। তাঁদের হাতে ছিল সরকার বিরোধী পোস্টার। গায়েও সাঁটা ছিল স্লোগান। পরিস্থিতি সামলাতে, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। প্রতিবাদী যৌথ মঞ্চের দাবি, নিগৃহীতা যুবতীকে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে এবং দোষী জওয়ানকে অসামরিক আদালতে বিচার করে অবিলম্বে কড়া সাজা দিতে হবে। যৌথ মঞ্চ জানিয়েছে, দাবি পূরণ না হলে তাঁরা, সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে মিছিল বের করবেন। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত কাল, রাজ্য মহিলা কমিশনের তিন সদস্য হীরামণি ফুকন, বালিকা পেগু ও রাজশ্রী বরুয়া মেয়েটির বাড়ি গিয়ে সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করেন। তাঁরা নওজান সেনা ছাউনিতেও যান। |