প্রবন্ধ ১...
পনেরো বছরেও সব ক’টা ঘর দেখা হয়নি
চমকা ঘুম ভাঙল টেলিফোনের আওয়াজে। তখন রাত প্রায় দুটো। অতীব বন্ধু বা আত্মীয়রাও ওই সময়ে ফোন করবেন না। যদি না কোনও দুঃসংবাদ হয়! তাই রিসিভারের দিকে হাতটা বাড়াতে গিয়ে এক মুহূর্ত কেঁপে উঠলাম।
দুঃসংবাদই! জনৈক বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান তখন নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে অতিথি। পরদিন ভোরে তিনি যাবেন রাজঘাট, গাঁধীর সমাধিতে মালা দিতে। ফুলের সঙ্গে থাকবে একটি বার্তা। সেটিই লিখতে হবে।
বার্তার বয়ান নয়। সেটা তৈরি। কিন্তু, প্রথা অনুযায়ী, পুরনো দিনের আলঙ্কারিক ইংরেজি হরফে সেটি লিখতে হবে। রাষ্ট্রপ্রধান সেটিই রাখবেন গাঁধীর সমাধিতে। এই বার্তা অনেক আগেই আমার কাছে পৌঁছনোর কথা ছিল। পৌঁছয়নি, কারণ যাঁদের পাঠানোর কথা, তাঁরাই পাঠাননি। তখন অবশ্য দোষারোপের সময় নয়। কাজটা করতে হবে, এবং যথাসময়ে।
তখন গত শতকের সত্তরের দশক। হাত বাড়ালেই ডিটিপি-র যুগ আসেনি। রাষ্ট্রপতি ভবনে ‘আর্ট কিউরেটর’ হিসাবে আমি কর্মরত। আমারই অধীনে কাজ করতেন একঝাঁক শিল্পী। তাঁদের মধ্যে হরফ-শিল্পীও ছিলেন। ক্যালিগ্রাফার। রাষ্ট্রপতি ভবনের বিভিন্ন উৎসবে যত নিমন্ত্রণের চিঠি সমস্ত ওই ভাবে সরু নিব-এ নির্দিষ্ট কিছু রাজকীয় ছাঁদের হরফে লিখতে হত। কিন্তু, ওই গভীর রাতে কোথায় ক্যালিগ্রাফার? তাঁদের ডেকে আনার সময়ই বা কোথায়? মাত্র কয়েকটি ঘণ্টা হাতে। তার মধ্যেই লেখাটেখা শেষ করতে হবে।
নিশিডাকের মতো সেই ফোন-এ শুধু জানলাম, আমাকে বাড়ি থেকে তুলে আনার জন্য গাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গাড়ি এল। কিন্তু, প্রকৃত সংকট তখনও শুরুই হয়নি। জানলাম, সেই রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে যিনি মিডিয়া সামলানোর দায়িত্বে আছেন, তাঁর কাছ থেকেই বার্তার বয়ানটি সংগ্রহ করতে হবে। তিনি কোথায় আছেন? রাষ্ট্রপতি ভবনের অতিথি নিবাসে।
সেখানে, অত রাতে, তাঁর সঙ্গে দেখা করব কী করে? রাষ্ট্রপতি ভবনে আমার প্রায় অবাধ গতিবিধি ছিল। আমার কাছে ‘রেড পাস’ ছিল যা দেখালে প্রায় সর্বত্রই যাওয়া যেত। কিন্তু, রাষ্ট্রপতি ভবনে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের মতো ভি ভি আই পি অতিথি থাকলে গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হত বিষম। তখন বিশেষ অনুমতি না থাকলে ঢোকার প্রশ্নই নেই। আর, ওই গভীর রাতে তো তা আরও অসম্ভব!
কর্তব্য বড় দায়! গেলাম সেই ভবনে। প্রত্যাশা মতোই, রক্ষীরা সশস্ত্র এবং ভাবলেশহীন। তাঁরা হরফ, রাজঘাট, মহাত্মা গাঁধী, দেশের সম্মান অতশত বোঝেন না। তাঁরা অনুমতিপত্রটি বোঝেন। থাকলে, ঢুকতে দেওয়ার কথা ভাববেন। না থাকলে বন্দুকের ঠাণ্ডা ট্রিগারটাকে আর একটু শক্ত করে চেপে ধরবেন। আমি খুব হতবুদ্ধির মতো দাঁড়িয়ে আছি। প্রাণপণে বোঝাতে চেষ্টা করছি, আমাকে ভিতরে যেতে দেওয়া কতটা দরকার। অনুনয় করে বলছি, আমি এখানে এত দিন ধরে কাজ করছি। এখানে সবাই আমাকে চেনেন।
রক্ষীর দল তাতে বিশেষ বিচলিত হলেন না। বরং জোরাজুরি করাতে আমার দিকে একটু বিরক্ত হয়েই তাকালেন। তখনও নিরাপত্তার কড়াকড়ি খুব সাংঘাতিক হয়নি বটে, কিন্তু গভীর রাতে কোনও লোক যদি খাস রাষ্ট্রপতি ভবনে বিদেশি কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের নির্দিষ্ট ভবনে ঢুকতে চায়, রক্ষীরা তা কখনওই বরদাস্ত করবেন না। সন্দিহান হলে তাঁরা আর কী করতে পারেন, তা ভেবে আমার শিরদাঁড়ায় একটি হিম স্রোত নেমে গেল।
আমি শেষ চেষ্টার মতো বললাম, অমুক আমলাটিকে যদি ফোন করা যায়! তাঁরই নির্দেশে আমি এসেছি। কেন এসেছি, তিনি বলতে পারবেন। সে রকমই বন্দোবস্ত হল। তখন আমি ডেপুটি মিলিটারি সেক্রেটারির সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। ওঁরা তাঁর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিন্ত হলেন যে আমি প্রকৃতই একটি গুরুতর কর্তব্যবশত ওই মধ্যরাত্রে উপস্থিত হয়েছি।
তাতেই কাজ হল। দরজা খুলল। বার্তা হস্তগত হল। আমার অফিস ঘরের স্টুডিয়ো খুলে আমি তুলি-কালি নিয়ে বসলাম লিখতে। আপাতত এইটুকুই বলা থাক যে, সেই লেখা ঠিক মতো এবং ঠিক সময়েই শেষ হয়েছিল।

আসলে রাষ্ট্রপতি ভবনের নানা অন্দর-কন্দরে এমন অজস্র গল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এ এক বিপুল এবং বিচিত্র বাড়ি। তিনশোর বেশি ঘর। পনেরো বছর কাজ করেছি এই ভবনে ১৯৭২-এ শুরু, ১৯৮৭-তে বিদায় সমস্ত ঘরে যাওয়া দূরস্থান, ঘুরেও দেখতে পারিনি। তবুও, যা দেখেছি, তা ভাবতে বসলে অজস্র কথা ভেসে আসবে। আজ, স্বাধীনতার পরে এই প্রথম কোনও বঙ্গসন্তান যখন সেই ভবনে দেশের প্রথম নাগরিক হিসাবে পদার্পণ করবেন, সেই সময় পুরনো কথাগুলি মনে পড়ছে।
মনে পড়ছে, আরও একটি ঘটনার কথা। ইন্দিরা গাঁধী তখন প্রধানমন্ত্রী। হাঁটতেন দ্রুত। কোনও বিদেশি ভি ভি আই পি-র যদি রাষ্ট্রপতি ভবনে আসার কথা থাকত, তা হলে তার কিছু দিন আগে থেকেই শ্রীমতী গাঁধী বেশ কয়েক বার করে আসতেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। অতিথি ভবনে গিয়ে নিজে তদারক করতেন বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয়।
সেই তদারকির মধ্যে শিল্পেরও একটা ভূমিকা ছিল। অতিথি ভবনে ঠিক কী ধরনের শিল্পকাজ রাখা থাকবে, তা অতিথি-সাপেক্ষেই ঠিক করা হত। যেমন, রানি এলিজাবেথ যে বার এলেন, আমরা রাষ্ট্রপতি ভবনের শিল্পসংগ্রহ থেকে একটা বড় এচিং এনে অতিথিনিবাসে রাখলাম। ড্যানিয়েলের কাজ, জ্যোৎস্নায় তাজমহল। কাজটি রাখা হল তাঁর শয়নকক্ষে, তাঁর শয্যার মাথার কাছে।
ইন্দিরা আমাকে ডাকতেন ‘চৌধুরী’ বলে। দৃপ্ত ভঙ্গিতে তিনি হাঁটছেন, পিছনে পিছনে শশব্যস্ত আমলার দল, এমন দৃশ্য কত বার দেখেছি। এক বার কোনও এক জন অতিথির আগমন উপলক্ষে ইন্দিরা চারটি শিল্পকাজ, অর্থাৎ কয়েকটি মূর্তি এবং পটারি সংগ্রহশালা থেকে নিয়ে আসতে বলেছিলেন। সেগুলি এনে রাখা হয়েছে। যথাসময়ে, একেবারে ঘড়ির কাঁটা মেনে ইন্দিরা উপস্থিত। পিছনে আমলারা তো আছেনই। সঙ্গে উষা ভক্ত, ইন্দিরার সোশ্যাল সেক্রেটারি। সাধারণত, আমলারা ওই সব পরিদর্শনের সময় তাঁর একটু পিছনেই থাকতেন দেখেছি। ইন্দিরা দেখলেন, আমি রোটান্ডার টেবিলের উপর থেকে চারটি কাজ বয়ে আনছি কোনওক্রমে পেটের ওপর হাত জড়ো করে। দেখামাত্র ইন্দিরা সটান এগিয়ে এলেন আমার কাছে, বললেন, চৌধুরী, তোমার হাত তো দুটো, কী করে এতগুলো জিনিস আনবে? দাও, আমাকে দুটো দাও।
বলে, উত্তরের অপেক্ষা না করে আমার হাত থেকে দুটো কাজ তুলে নিলেন নিজের হাতে। তার পর, হাঁটতে শুরু করলেন। পিছনে আমলারা তখন কী করবেন, বুঝতে পারছেন না। একে তো বিব্রত হয়ে মাটিতে মিশে যাওয়ার মতো অবস্থা। তার পর, এগিয়ে গিয়ে ইন্দিরা গাঁধীর হাত থেকে কাজগুলো চেয়ে নেবেন, সে সাহসও কারও নেই। দৃশ্যটা মনে পড়লে এখনও মজা লাগে।
অন্য এক গল্পও মনে পড়ে ইন্দিরা গাঁধীকে নিয়ে। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ প্রয়াত হন। তাঁর মরদেহটি দরবার হলে শায়িত। থমথমে মুখে ইন্দিরা এলেন। তাঁর সেই বিষণ্ণ, কঠিন মুখচ্ছবি কোনও দিন ভুলতে পারব না। ভুলতে পারব না সনিয়ার হাত ধরে ছোট ছোট রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা। দিদিমার সঙ্গে প্রায়ই আসত দু’জন।
তখন নিরাপত্তার এত কড়াকড়ি ছিল না। রাষ্ট্রপতি ভবনের নানা অনুষ্ঠানে আমরা দিব্যি চলে যেতাম। ফিল্মোৎসবের পরে রাষ্ট্রপতির দেওয়া চা-চক্রে আমার সামনে সত্যজিৎ রায়, জিনা লোলোব্রিজিদা। সেখানেই তাঁদের স্কেচ করেছিলাম। দু’জনেই স্কেচগুলিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। দুঃখের কথা, কাজ ছেড়ে চলে আসার সময় আলমারিতে আরও নানা জিনিসের ফাঁকে সেই স্কেচ দুটিও ফেলে এসেছিলাম। পরে খোঁজ করেও আর পাইনি। এই আক্ষেপ ভোলার নয়।

মূলত এডওয়ার্ড লাটিয়েনস-এর নকশায় বানানো এই বাড়ি অজস্র ইতিহাসের সাক্ষী। সন্ধেবেলা, মাঝে মাঝে হাঁটতে হাঁটতে গা ছমছম করত। করবেই, ইতিহাসের এত কাছে এসে দাঁড়ালে শিহরন জাগতে বাধ্য।
জানি না, এখন কী হয়েছে, কিন্তু তখনও পর্যন্ত দেখেছি, রাষ্ট্রপতি ভবনের বিভিন্ন পরিচারক ও কর্মীদের আদবকায়দা পুরনো ব্রিটিশ ধাঁচ অনুসারী। আসলে, যাঁরা ওখানে সেই সব কাজ করতেন, তাঁরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সেই কাজ করে আসছেন। বাবা কাজ করতেন, পরে ছেলেও সেই কাজে এলেন, এমন দৃষ্টান্ত বহু। ফলে, পুরনো সেই আদবকায়দার ঘরানা থেকেই গিয়েছে কালের ধারায়।
ঠিক যে ভাবে থেকেই গিয়েছিল পুরনো সব ব্রিটিশ আমলের কার্পেট। ব্যবহৃত হতে হতে যদি কোনওটি নষ্ট হয়ে যেত, কারিগর ডেকে পুরনো নকশা মেনেই ফের নতুন করে তৈরি হত কার্পেট। ইতিহাস জীবিত থাকত।
আবার, ইতিহাস এগোয়ও। অশোক মিত্র সচিব পদে এসে বললেন, ব্রিটিশ ভাইসরয়দের ছবি আমরা ওই ভাবে কেন রাখব? ঠিক হল, সেগুলি সরিয়ে ফেলা হবে। পরিবর্তে অন্য সব ভারতীয় শিল্পকৃতি রাখা হবে। সরিয়ে ফেলা মানে তো ফেলে দেওয়া নয়। আশ্চর্য ভাল সব কাজ। রাষ্ট্রপতি ভবনে ঘরের অভাব নেই। একটি কক্ষ নির্বাচন করলাম রাষ্ট্রপতি ভবনের বেসমেন্ট-এর মার্বেল হল-এ। সেটিকে একটি সংগ্রহশালার মতো তৈরি করা হল। সেখানেই সসম্মান ঠাঁই পেল ওই সব তৈলচিত্র।
এই যে পরিবর্তনের কথা বললাম, পুরনো ছবি সরিয়ে নয়া শিল্পকৃতি, সে সব কিন্তু খেয়ালখুশি মাফিক হয়নি। রাষ্ট্রপতি ভবনে শিল্প বিষয়ে রীতিমতো একটি আর্টস কমিটি ছিল। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আমলা, বাস্তুকার ছাড়াও ‘ন্যাশনাল গ্যালারি অব মডার্ন আর্ট’, ‘ললিতকলা অকাদেমি’, আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া, এ সব প্রতিষ্ঠানের প্রধানরাও ছিলেন কমিটিতে। আমি ছিলাম তার সচিব। পান থেকে চুন খসাতে হলেও সেই কমিটির অনুমোদন লাগত। তাঁরা বিচার করতেন নতুন যদি কিছু করতে হয়, তা এই ভবনের স্থাপত্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে কি না! এক বার ঠিক হল একটি জলের ট্যাঙ্ক বসবে। কমিটির কাজ হল, দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থপতির সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা কোথায় সেটি বসবে, কী রং হবে, ইত্যাদি। আমি যত দিন দেখেছি, শিল্প জিনিসটা রাষ্ট্রপতি ভবনে নেহাত ঘর সাজানোর ব্যাপার ছিল না। তাকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হত।
কী আশ্চর্য সব শিল্পসংগ্রহ আছে রাষ্ট্রপতি ভবনে, তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। দু-একটি দৃষ্টান্ত দেওয়া যেতে পারে। পলাশির যুদ্ধ-খ্যাত লর্ড ক্লাইভ-এর যে ছবিটি বইটইতে হামেশা ছাপা হয়, তার মূল ছবিটি রক্ষিত আছে রাষ্ট্রপতি ভবনে। আছে অজিণ্ঠা-র কিছু দুর্লভ ছবির প্রমাণ মাপের প্রতিলিপি। রাষ্ট্রপতি ভবনে দায়িত্বগ্রহণের পরে বিভিন্ন ঘরে ছড়িয়ে থাকা শিল্পসংগ্রহ খুঁজতে গিয়ে আবিষ্কার করেছিলাম চিনের এক দুর্লভ পাত্র। এমনকী মহারানি ভিক্টোরিয়ার ১৬ বছর বয়সে রাজ্যাভিষেকের অসামান্য একটি ছবি। এ রকম আরও কত কী যে আছে ওই ভবনে, তা শিল্পরসিকের সবিস্ময় মুগ্ধতার বিষয়।
আজ, সেই বাড়িটির অধিবাসী হিসাবে পা রাখতে চলেছেন এক বাঙালি।
প্রণব মুখোপাধ্যায়।
তাঁর জন্য আমার সানন্দ শুভেচ্ছা রইল।

এক নজরে
ছিল নয়াদিল্লিতে ব্রিটিশ ভাইসরয়-নিবাস। ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫০-এর পরে সেটিই রাষ্ট্রপতি ভবন হিসাবে পরিচিত হল।
মুখ্য স্থপতি এডুইন লাটিয়েনস। মুখ্য প্রযুক্তিবিদ হিউ কিলিং। তবে আরও একাধিক ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ যুক্ত ছিলেন এই ভবনের নির্মাণে। যেমন, হারুন-অল-রশিদ। যেমন, সুজন সিংহ এবং তাঁর পুত্র শোভা সিংহ।
নির্মাণকাজে অনুমোদিত খরচ ছিল চার লক্ষ পাউন্ড। সেটা বেড়ে দাঁড়ায়, আট লাখ সাতাত্তর হাজার একশো ছত্রিশ পাউন্ড। আনুষঙ্গিক কিছু ব্যয় ধরলে আরও কিছুটা বেশি। লাটিয়েন্স নির্বিকার। বলেছিলেন, দুটো যুদ্ধজাহাজ বানাতে গেলেই এর চেয়ে ঢের বেশি খরচ হত!
ভবনে চারটি তল। কক্ষ তিনশো চল্লিশটি। ‘ফ্লোর এরিয়া’ দু’লক্ষ বর্গফুট। ৭০ কোটি ইট এবং ত্রিশ লক্ষ ঘনফুট পাথর দিয়ে গড়া।
বিভিন্ন দেশের শিল্প এবং স্থাপত্য রীতির সংমিশ্রণ ঘটেছে এই ভবনের স্থাপত্যে। যেমন, লাটিয়েন্স স্বয়ং জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি ভবনের বিভিন্ন ‘ডোম’ রোমান শিল্পকলার অনুসারী। আবার, সাঁচির বৌদ্ধ স্থাপত্যের সঙ্গেও এর বিস্ময়কর সাযুজ্য। ভারতীয় মন্দিরের ঘণ্টাও ব্যবহার করা হয়েছে বিন্যাসে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.