তিনটি সংগঠনের বিরোধিতা সত্ত্বেও আজ, বুধবার ট্যাক্সি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মালিক ও চালকদের বিভিন্ন সংগঠন। ভাড়া বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ‘পুলিশি জুলুম’ বন্ধ-সহ কয়েকটি দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক। এই ধর্মঘট ‘সিটু এবং সিপিএমের চক্রান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। ধর্মঘটের বিরোধিতা করে মালিকদের অন্য তিনটি সংগঠন আজ রাস্তায় ট্যাক্সি নামাবে বলে জানিয়েছে। বাইরে থেকে যাঁরা মহানগরীতে আসবেন, তাঁদের অসুবিধা লাঘব করতে আজ শিয়ালদহ, হাওড়া এবং কলকাতা বিমানবন্দর এলাকায় সরকার বিশেষ ব্যবস্থা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী।
মঙ্গলবার পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে মহাকরণে ক্যালকাটা ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন, প্রোগ্রেসিভ ট্যাক্সিমেনস ইউনিয়ন এবং ক্যালকাটা মেট্রোপলিটন ট্যাক্সি ড্রাইভার্স ইউনিয়নের নেতারা জানান, প্রস্তাবিত ধর্মঘটে তাঁরা সামিল হচ্ছেন না। তাঁদের দাবি, কলকাতায় মোটামুটি ৩৫ হাজার ট্যাক্সি চলে। তার মধ্যে ৩০-৩২ হাজারই আজ পথে নামবে। ধর্মঘটের মূল আহ্বায়ক বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন বা বিটিএ-র সভাপতি বিমল গুহ অবশ্য বলেন, “গত ১৯ জুন যে-ট্যাক্সি ধর্মঘট হয়, তার আগেও পরিবহণমন্ত্রীর অনুগত সংগঠনগুলি ট্যাক্সি চলবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু একটাও চলেনি। বুধবারেও কোনও ট্যাক্সি বেরোবে না।” তবে ধর্মঘটীদের সতর্ক করে দিয়ে পরিবহণমন্ত্রী বলেছেন, “রাজ্য সরকার বারবার এ ধরনের ধর্মঘট মেনে নেবে না। আগামী দিনে প্রয়োজনে ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।” মদনবাবুর প্রশ্ন, সরকার যখন ট্যাক্সি-বাসের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে, বিভিন্ন পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করছে, তার মধ্যে আবার ধর্মঘটের ডাক কেন? তার পরেই তিনি অভিযোগ তোলেন, সিপিএম এবং সিটু চক্রান্ত করে গোলমাল পাকাচ্ছে।
মন্ত্রীর এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিটিএ-র সভাপতি বলেন, “বাম আমলে যখন ধর্মঘটের ডাক দিতাম, তখন বলা হত, আমাদের পিছনে তৃণমূলের উস্কানি রয়েছে। এখন উল্টোটা শুনতে হচ্ছে!” |