এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তিন জনের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে মারা যান হাবরার শ্রীনগরের বাসিন্দা প্রভাস চক্রবর্তী (২৬)। তাঁর বাবা বাসুবাবু তিন জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন হাবরা থানায়। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রভাস হাবরা বাজারে এক ব্যক্তির মিনি ট্রাকের খালাসি হিসাবে মাস দু’য়েক আগে কাজ শুরু করেন। মালপত্র নিয়ে কলকাতায় যেতে হবে বলে বৃহস্পতিবার প্রভাসকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে কয়েক জন ভ্যানে চাপিয়ে প্রভাসকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। বাড়ির লোকের দাবি, সে সময়ে অসুস্থ ছিলেন প্রভাস। পর দিন তাঁর বাবা মিনি ট্রাকের মালিকের কাছে জানতে যান, কী ভাবে অসুস্থ হল ছেলে। মালিক জানান, পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছেন ওই যুবক। যদিও প্রভাস বাড়ির লোককে জানান, মালিক ও তাঁর লোকজন মারধর করায় জখম হয়েছেন তিনি। শনিবার সকালে ওই যুবককে ভর্তি করা হয় হাবরা হাসপাতালে। দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। কী কারণে ওই যুবককে মারধর করা হল, তা জানাতে পারেননি প্রভাসের বাড়ির লোক। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ।
|
গোলমালে অভিযুক্ত দেগঙ্গার নিরামিশা গ্রামের এক সিপিএম নেতার বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা এবং চপার উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার সকালে পুলিশ ওই অভিযান চালায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কুতুবুদ্দিন মণ্ডল নামে ওই সিপিএম নেতার বাড়ির একটি ঘরের খাটের তলা থেকে একটি রিভলভার এবং দু’টি চপার উদ্ধার করা হয়। বিচালির গাদা থেকে মেলে চারটি তাজা বোমা। তবে, অভিযুক্ত ওই নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তিনি পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। সিপিএমের দাবি, দলীয় নেতাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে তৃণমূলই ওই সব অস্ত্র বাড়িতে রেখে তাঁকে ফাঁসিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার স্থানীয় বাজারে এখটি দোকান করা নিয়ে সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আহত হন বেশ কয়েক জন। পরিকল্পিত ভাবে কুতুবুদ্দিন এবং তাঁর সঙ্গীরা তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে লুঠপাট করে এবং মহিলা ও শিশুদের মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পরে কুতুবুদ্দিন এবং তাঁর সঙ্গীরা পালান। গোলমালে জড়িত অভিযোগে কুতুবুদ্দিনের বাবা গোলাম মণ্ডল-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার সকালে গ্রামে রটে যায়, কুতুবুদ্দিন ফের গ্রামে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছেন এবং এ জন্য বাড়িতে অস্ত্র যোগাড় করেছেন। এই খবর পেয়েই পুলিশ তল্লাশি চালায়।
|
বাসন্তীর ঝড়খালির হেড়োভাঙা বিদ্যাসাগর বিদ্যামন্দিরের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক-সহ ৫ জনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রবিবার সভা করল বামফ্রন্ট। ঝড়খালির রাজার মোড়ে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী, আরএসপি-র রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামী, ওই দলেরই স্থানীয় বিধায়ক সুভাষ নস্কর প্রমুখ। সকলেই ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে গ্রেফতারের প্রতিবাদ করেন। গত ৩ জুলাই ওই স্কুলের চত্বর থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সত্যজিৎ মণ্ডলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ক্যানিংয়ের থুমকাটি গ্রামের বাসিন্দা সত্যজিৎ স্কুলেরই হস্টেলে থাকত। সেখানে নিম্ন মানের খাবার দেওয়ার প্রতিবাদ করায় তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলেন অভিভাবকদের একাংশ এবং তৃণমূল। ঘটনার পিছনে স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক তথা স্থানীয় আরএসপি নেতা প্রণব মণ্ডল এবং তাঁর লোকজন জড়িত বলে অভিযোগও তোলে তৃণমূল। ছাত্রের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় প্রণববাবু-সহ পাঁচ জনকে। এই গ্রেফতারির প্রতিবাদেই এ দিন সভা করে বামফ্রন্ট। সব বক্তাই তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হন। মিথ্যা মামলায় প্রণববাবুদের ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন সুজনবাবু, সুভাষবাবুরা।
|
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার বিকেলে ভাঙড়ের খরম্বা থেকে ইজেল লস্করকে ধরা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্করপ্রসাদ বাড়ুই জানান, ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে ৩টি পাইপগান ও ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। |