রাষ্ট্রপতি কথা |
১৯৫০ - ২০১২ |
১৩ জন রাষ্ট্রপতি, ৩ জন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। |
রাজেন্দ্র প্রসাদই এক মাত্র
রাষ্ট্রপতি যিনি পর পর
দু’বার নির্বাচিত হন। |
১৯৬৯ সালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর মনোনীত প্রার্থী
ভিভি গিরি সরকারি ভাবে কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী
নীলম সঞ্জীব রেড্ডিকে পরাজিত করেন। |
নীলম সঞ্জীব রেড্ডিই একমাত্র রাষ্ট্রপতি যিনি
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৯৭৭ সালে নির্বাচিত হন। |
|
|
এ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৯ লক্ষেরও বেশি ভোট পেয়েছেন
কে আর নারায়ণন, এপিজে আব্দুল কালাম। |
|
বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্রপতি ভবন এ দেশেই। রয়েছে ৩৪০ টি ঘর। |
১৯৮৭-১৯৯৩
একদলীয় সরকার থেকে জোট সরকার। সাক্ষী প্রেসিডেন্ট বেঙ্কটরামন। কাজ করেছেন
রাজীব গাঁধী, ভি পি সিংহ, চন্দ্রশেখর ও পি ভি নরসিংহ রাও এই চার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে । |
১৯৯৮ সালে রাষ্ট্রপতির বেতন ১০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়
৫০ হাজার টাকা। ২০০৮-এ ফের বেতন কাঠামোর পরিবর্তন।
বর্তমানে রাষ্ট্রপতির বেতন ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। |
|
|
|
চুড়োয় চাণক্য |
অপেক্ষার ১২ ঘণ্টা |
ভোর সাড়ে ছ’টা
প্রাতর্ভ্রমণ। অন্য দিনের তুলনায়
কিছুটা আগেই।
সাড়ে সাতটা
পুজোর ঘরে। দীর্ঘ ক্ষণ।
সাড়ে ন’টা
লুচি, আলু-চচ্চড়ি দিয়ে প্রাতরাশ। |
|
দুপুর সাড়ে বারোটা
ফল আসা শুরু। কাগজ-কলম
নিয়ে হিসেবনিকেশ।
আড়াইটে
দুপুরের খাওয়া। ডাল, আলু-পোস্ত,
মাছ। সঙ্গে কালীবাড়ির খিচুড়ি প্রসাদ।
পাঁচটা কুড়ি
এলেন সনিয়া-রাহুল। মেয়ে শর্মিষ্ঠা
ও স্ত্রী শুভ্রাকে নিয়ে তাঁদের অভ্যর্থনা। |
|
সাড়ে পাঁচটা
স্ত্রী গুরশরণ কৌরকে নিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী।
সন্ধ্যা ছ’টা কুড়ি
রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে বাড়ির বাইরে এলেন।
কৃতজ্ঞতা জানালেন দেশবাসীকে। ছবি: পিটিআই |
|
“এই সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মহান দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জনগণের আস্থার যোগ্য হওয়ার জন্য এই দায়িত্বের প্রতি সুবিচার করার চেষ্টা করব।”
প্রণব মুখোপাধ্যায় |
বাবার সঙ্গে ১৭ বছর এবং বাবার মৃত্যুর পরে পাঁচ বছর, মোট বাইশ বছর প্রণববাবুর গ্রামের বাড়ির দুর্গাপুজো-সহ অন্যান্য পুজো করেছেন কীর্ণাহারের ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা বিপত্তারণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মিরাটির মুখোপাধ্যায় বাড়ির কুলপুরোহিত বিপদতারণবাবু অষ্টমীর দিন প্রণববাবুকে কাছ থেকে চণ্ডীপাঠ করতেও দেখেছেন। বলছিলেন, “প্রণববাবুর সংস্কৃত উচ্চারণের কাছে বহু পেশাদার পুরোহিতও হার মানবেন। পুজোর আচারবিধি নিয়েও উনি অনেক সময় যুক্তি দিয়ে আমাদের ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন।”
|
শনিবার রাতেই আগাম অভিনন্দন জানাতে ছেলে সাজিব ওয়াজেদ জয়কে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ‘পারিবারিক বন্ধু’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে পাঠিয়েছেন তাঁর বাবা শেখ মুজিবর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটিও। তাতে লেখা ‘দাদাকে শুভেচ্ছা-সহ হাসিনা, ২১ জুলাই, ২০১২।’ শুধু ছেলেকে পাঠানোই নয়, রবিবার রাষ্ট্রপতি ভোটের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণামাত্রই প্রণববাবুকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান হাসিনা এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এম জিল্লুর রহমান। প্রণববাবু আরও খুশি জয়কে দেখে। বললেন, “ওদের কত ছোট থেকে দেখছি। এক বার কার্নালের লেকে বোটিংয়ের জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম ওদের। বোটিং করে ফিরে আসার জয় বায়না ধরেছিল, আরও এক বার আঙ্কেলের সঙ্গে বোটিং করব। আঙ্কেল আর আমি।” |