কংগ্রেসের পর
বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে সিপিএম
লকাতা এবং আশেপাশের এলাকায় সিইএসসি-র বিদ্যুতের মাসুল বাড়ানোর প্রতিবাদে এ বার পথে নামছে সিপিএম। এই প্রশ্নে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছে সরকারের শরিক কংগ্রেস। জনগণের মন পেতে একই পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলও। বর্ধিত মাসুল প্রত্যাহারের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গণস্বাক্ষর-সংবলিত চিঠি পাঠাচ্ছে তারা। সিইএসসি-র সদর দফতর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে কাল, মঙ্গলবার অবস্থান-বিক্ষোভও হবে। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা সূর্যকান্ত মিশ্র, শ্যামল চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিমের মতো সিপিএমের প্রথম সারির রাজ্য নেতাদের। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ওই জায়গাতেই বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল প্রদেশ কংগ্রেস।
বিদ্যুতের বাড়তি মাসুল প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে সিপিএম প্রত্যাশিত ভাবে নিশানা করছে রাজ্য সরকারকেই। সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির তরফে মানব মুখোপাধ্যায়, দিলীপ সেন, রাজদেও গোয়ালা, দেবব্রত বিন্দুদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী হয় ওই বর্ধিত মাসুল প্রত্যাহারের নির্দেশ দিন বা গরিব, সাধারণ মানুষের স্বার্থে বিদ্যুতের বাড়তি দামের উপরে ভর্তুকি দিন। সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের ‘অনুমোদন’ ছাড়া বিদ্যুৎ সংস্থা মাসুল বাড়াতে পারে না বলেই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছেন। সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মানববাবু রবিবার বলেন, “গত এক বছরে সিইএসসি-র বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি মোট ১ টাকা ৩৩ পয়সা বেড়েছে। যা অভাবনীয়! দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত একা মুখ্যমন্ত্রীর নয়, এটা আমরা জানি। কয়লার দাম বেড়েছে, এটাও জানি। কিন্তু ভর্তুকি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিদুত্যের দাম কমাতে পারেন।” প্রায় চার লক্ষ স্বাক্ষর-সহ সিপিএমের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতেও বলা হয়েছে, বিদ্যুতের দাম কমানোর ব্যবস্থা করে তিনি যেন মানুষকে দেওয়া তাঁর ‘নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি’ পালন করেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা শনিবারই তাঁর দলের সমাবেশ থেকে বলেছেন, গত ১৫ মাসে বিদ্যুৎ বা কোনও কিছুরই দাম বাড়েনি। এর জবাবে কলকাতা জেলা সিপিএমের নেতা দিলীপবাবুর বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা শুনেছি। আপনারাও (সংবাদমাধ্যম) শুনেছেন। মানুষ নিজের অভিজ্ঞতায় বুঝে নেবেন বাজারে আলু, পটল, বেগুনের দাম কত! বিদ্যুতের দামই বা কত! তৃণমূলের যে কর্মী-সমর্থকেরা সমাবেশে হাজির থেকে হাততালি দিয়েছেন, তাঁরাও নিজেদের অভিজ্ঞতায় মিলিয়ে নেবেন।” দিলীপবাবুর দাবি, বামফ্রন্ট জমানার শেষ বছরেও ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ভর্তুকি বাবদ। যাতে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের নিজেদের পকেট থেকে বাড়তি মাসুলের টাকা গুনতে না-হয়। এনডিএ জমানায় ২০০৩ সালে পাশ-হওয়া কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ আইনের মাসুলও এখন দিতে হচ্ছে বলে সিপিএমের দাবি। ওই আইন পাশের সময় কেন্দ্রীয় সরকারের শরিক তৃণমূল কোনও কথা বলেনি বলেই তাদের অভিযোগ।
এ সবের শেষে যা দাঁড়াচ্ছে কলকাতার মধ্যস্থলে ঠিক যে জায়গায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা দাম না-বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন, একই জায়গা থেকে বিরোধী সিপিএম প্রতিবাদ জানাবে বর্ধিত দামের!
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.