সোনার ছেলে এ বার আর নেই সোনার দৌড়ে। গত অলিম্পিকের সোনাজয়ী রাফায়েল নাদাল আট দিন বাকি থাকতে নাম তুলে নিলেন লন্ডন অলিম্পিক থেকে। কারণ, চোট।
সমগ্র স্পেনবাসীর সঙ্গে চূড়ান্ত হতাশ নাদাল নিজেও। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করেছিলেন, যদি খেলার মতো অবস্থায় আসতে পারেন। কিন্তু, তাঁর সেই আশা আর পূরণ হল না। তাই চার বছর আগে বেজিং অলিম্পিকে জেতা সোনার রক্ষণে আর নামতে পারছেন না বিশ্বের তিন নম্বর তারকা। সেই খবর তিনি জানালেন বৃহস্পতিবার রাতে। শুধু র্যাকেট হাতে টেনিস কোর্টে স্পেনের প্রতিনিধিত্ব নয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁর জাতীয় পতাকা-বহন করার কথাও ছিল। নাদালের হতাশা আরও তীব্র হয়েছে সেই সুযোগ হারানোয়। নাদালের কথাতেই ধরা পড়ছে সেই হতাশা, “আজ আমার খেলোয়াড় জীবনের অন্যতম দুঃখের দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পতাকা-বহন করাটা দারুণ সম্মানের হত। সেই কারণে, এই সিদ্ধান্তটা নেওয়া আমার কাছে আরও কঠিন ছিল।” নাদাল স্পেনেই ছিলেন। স্পেনের অন্যান্য ক্রীড়াবিদের সঙ্গে একসঙ্গে লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। |
মায়োরকাবাসী নাদাল বলেন, “আমি শারীরিক ভাবে যে অবস্থায় আছি, তাতে আমার পক্ষে অলিম্পিকে খেলা সম্ভব নয়। তাই স্পেনের বাকিদের সঙ্গে আমি আর লন্ডন যাচ্ছি না।” আধা-ফিট অবস্থায় খেলার থেকে নাদাল মনে করছেন, স্পেনের সম্মান রাখতে অন্য সুস্থ কেউ তাঁর জায়গায় খেলুক। নাদালের কথায়, “আমাকে আমার টিম-মেটদের কথা ভাবতেই হবে। স্পেনের কথাও ভাবতে হবে। যে সুস্থ এবং আরও ভাল কন্ডিশনে আছে, তাঁকে সুযোগ করে দেওয়া উচিত।” টেনিস বিশেষজ্ঞরা অনেকেই মনে করছেন, নাদালের অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক খেলার স্টাইলের জন্য ইদানীং বারবার তাঁকে চোটের কবলে পড়তে হচ্ছে।
এ বছর অলিম্পিক সোনার সবচেয়ে বড় দাবিদার ছিলেন সদ্য উইম্বলডনজয়ী রজার ফেডেরার, নোভাক জকোভিচ, রাফায়েল নাদাল এবং উইম্বলডন-রানার্স অ্যান্ডি মারে। উইম্বলডনে চেক প্রজাতন্ত্রের অনামী টেনিস খেলোয়াড় লুকাস রসোলের কাছে দ্বিতীয় রাউন্ডেই হেরে গিয়েছিলেন নাদাল। সেই ঘাসের কোর্টেই এ বার অলিম্পিক টেনিসের আসর বসছে। তাই পাল্লা ভারী থাকছে এই মুহূর্তে অসাধারণ ফর্মে থাকা ফেডেরারের দিকেই। |