চার দিন আগেই হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে। কিন্তু সেই নির্দেশের নথি হাতে পেয়ে হলদিয়া এসিজেএম আদালতে জামিননামা দাখিল করতে সোমবার বিকেল গড়িয়ে যায়। ফলে, সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ এই দিনও জেল থেকে ছাড়া পাননি। নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডের মামলায় হাজিরা দিতে এই দিন আলিপুর জেল থেকে পুলিশি ঘেরাটোপে হলদিয়া আদালতে এসে ফের আলিপুরেই ফিরতে হয় তাঁকে। তবে, বিকেলেই জামিননামা গ্রহণ করে রিলিজ-অর্ডার দিয়েছেন এসিজেএম। |
তাই, আজ, মঙ্গলবারই লক্ষ্মণবাবু আলিপুর জেল থেকে মুক্তি পাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী ও পরিজনেরা। সে সময়ে জেল-গেটে সিপিএম রাজ্য-কমিটির একাধিক সদস্যেরও উপস্থিত থাকার কথা।
সোমবার এই মামলায় জেলবন্দি ১২ জনেরই হলদিয়া আদালতে হাজিরার দিন পূর্ব-নির্ধারিত ছিল। আগে থেকেই জামিনে মুক্ত ৮ জনেরও হাজিরা ছিল। ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম বিশ্বনাথ প্রামাণিক আগামী ৩০ জুলাই ফের সকলের হাজিরার দিন ধার্য করেন। এই মামলায় ‘ফেরার’ ৬৭ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য সিআইডি যে আবেদন করেছিল, তার শুনানি পিছিয়ে চলতি মাসের ২৭ তারিখে ধার্য করেছেন বিচারক। এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ লক্ষ্মণবাবুকে আদালতে নিয়ে আসার সময়ে নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন জেল-গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের অভিযুক্তদের ‘কঠোর শাস্তি’র দাবিতে স্লোগান দেন তাঁরা। তবে পুলিশি নজরদারিতে নির্বিঘ্নেই প্রাক্তন সাংসদকে কোর্ট লক-আপে নিয়ে যাওয়া হয়। |