আমাদের চিঠি

দূষণের কবলে প্রাচীন বটগাছ
হাবরার প্রাচীন বটগাছ।
উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবরা থানার বাউগাছি গ্রামে রয়েছে একটি প্রাচীন বটগাছ। গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলির সময়কালের প্রাচীন বটগাছটি যে স্থানে অবস্থিত সেই স্থানটি মছলন্দপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে। ১৮০৫-এ বটগাছটি জন্মায় (তথ্য বোটানিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া)। গাছটি ‘বাইশ পিরের বটগাছ’ নামে এলাকায় পরিচিত। দেড়শো বছর আগে এক প্রলয়ঙ্কর কালবৈশাখি ঝড়ে গাছটি দক্ষিণ দিকে হেলে পড়ে। বর্তমানে এটি প্রায় ৮৫ শতক জমি জুড়ে রয়েছে। কালের নিয়মে এলাকার জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গাছটির পাশে তৈরি হয়েছে বহু বাড়ি। স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে গাছের বৃদ্ধি। জনশ্রুতি, এই গাছে কোনও পাখিকে বসতে দেখা যায় না। বিষধর সাপেরা এর আশেপাশে ঘোরাফেরা করলেও কারও কোনও ক্ষতি করে না। রোগমুক্তি ও মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য অনেকে এই স্থানে এসে মানত করে। বর্তমানে একটি মাটির টালি তৈরির কারখানা ধোঁয়ার দূষণ ছড়িয়ে গাছটির ক্ষতি করছে। ফলে হাবরার প্রাচীন বটগাছটির অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। আশা করি বটগাছটিকে বাঁচাতে প্রশাসন সচেষ্ট হবে।
এক্সপ্রেস বাসস্টপ
সোন্দলপুর ও কৃষ্ণপুর, অষ্টঘড়িয়া-সিমলন পঞ্চায়েতের অধীন দুটি পাশাপাশি গ্রাম। সোন্দলপুর-কৃষ্ণপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ বাসস্টপ হওয়া সত্ত্বেও এখানে কালনা-বর্ধমান তিন নম্বর রুটের কোনও এক্সপ্রেস বাস থামে না। অনেক দূর থেকে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা আসে। এখানকার অধিবাসীদের জেলা শহর বর্ধমানে যেতে হয়। দূরত্ব কম করে প্রায় ৫১ কিলোমিটার। যেতে হয় কালনায়ও। আশপাশের আরও গ্রামের লোকজনরা এই বাসস্টপটি ব্যবহার করেন। সোন্দলপুর-কৃষ্ণপুর ‘লোকাল বাসস্টপ’টিকে দ্রুত ‘এক্সপ্রেস বাসস্টপ’-এ উন্নীত করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় পরিবহণ মন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
চাষবাস সংকটে
মেঝিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাইতে বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এখানকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষিজীবী। ছাই জমিতে পড়ায় জমিগুলি চাষের অযোগ্য হয়ে পড়ে ছে। পুকুরে মাছ চাষ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ছাইয়ের দূষণে মাঠের ঘাস খেয়ে গরু-ছাগলের রোগ হচ্ছে। ঝড় উঠলে ছাইয়ের গুঁড়ো আকাশ ছেয়ে ফেলে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। উপযুক্ত পদক্ষেপ না নিলে বিপদ বাড়ছে।
পরিচয়পত্র ছাড়া সিম
সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই পরিচয়পত্র ছাড়া চলছে মোবাইলের সিমকার্ড বিক্রির রমরমা কারবার। এই সব দোকানগুলোতে কোনও নথিপত্র ছাড়াই সিম পাওয়া যায়। তাতে অফারগুলোও থাকে চোখ ধাঁধানো। এই সব সিম অপরাধীরা কিনে যখন কুকীর্তি করে ধরা পড়ে তখন দেখা যায় এই সব সিমের মালিক কোনও সাধারণ নিতান্ত ভদ্রলোক। তিনি এই সিমকার্ডটি সম্বন্ধে বিন্দু বিসর্গও জানেন না। তা হলে তার নামে সিমটা হল কী করে? দেখা যাচ্ছে, ওই ভদ্রলোক কোনও এক সময় মোবাইলের দোকান থেকে একটি কার্ড কিনেছিলেন এবং নথিপত্রও জমা দিয়েছিলেন। দোকান মালিকটি সেগুলোই কপি করে বের করে রেখেছিলেন। এবং তা দিয়েই তার পরিচিত কোনও কোনও ব্যক্তিকে সিমকার্ড দিয়ে দেন। ফলে সেই ব্যক্তি জানতেও পারলেন না তার নামে তোলা সিম অন্য কেউ ব্যবহার করেছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, অবিলম্বে দোকানগুলিতে নজরদারি চালিয়ে এর ব্যবস্থা করা হোক।
হারিয়ে যাচ্ছে চড়াই
বাংলার গ্রামগঞ্জের বন-বাদাড়, ঝোপ, গাছগাছালি থেকে চড়ুই পাখির উপস্থিতি বিলুপ্তির পথে। চড়ুইয়ের অস্তিত্ব সংকটে। এরা কৃষকের বন্ধু। কারণ ফসলের ক্ষতি করে এমন পোকামাকড় খেয়ে এরা উপকার করে। কিন্তু কৃষিক্ষেত্র ও জলাভূমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার হয়েই চলেছে। বিষাক্ত জল ও ফসলের কারণে নিজেদের অজান্তে চড়ুই সহ নানা পাখি অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। পরিবেশ তার এই ছোট্ট বন্ধুকে হারাচ্ছে। বিলুপ্তির গ্রাস থেকে তাদের সুরক্ষা জরুরি।
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি,
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.