তৃণমূল শক্তি দেখাতে চায় একুশের সমাবেশে
ংগ্রেসের সঙ্গে টানাপোড়েনের আবহে এ বার ২১ জুলাই ‘শহিদ দিবসে’ দলের বিপুল সাংগঠনিক ‘শক্তি প্রদর্শনে’র চেষ্টায় রয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে উদ্ভূত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবং পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘শহিদ দিবসে’র সমাবেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এ বার খুবই ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতার নেতৃত্বে ‘মহাকরণ অভিযান’ কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিচালনায় নিহত ১৩ জনের স্মরণে এই ‘শহিদ দিবসে’র সমাবেশ থেকেই অধুনা তৃণমূল নেত্রী দলকে রাজনৈতিক আন্দোলনের দিশা দিয়ে থাকেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মমতা দলকে কোন পথে নিয়ে যেতে চাইবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক শিবিরে কৌতূহল তুঙ্গে। দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক ও রেলমন্ত্রী মুকুল রায় রবিবার বলেন, “নন্দীগ্রাম আন্দোলন বাদ দিলে মমতাদি’র নেতৃত্বে মহাকরণ অভিযানে পুলিশের গুলিতে ১৩ জনের মৃত্যু কলকাতায় বাম আমলে নৃশংসতার নজির গড়েছে। এ বারও শহিদ দিবসের তাৎপর্য আলাদা।”
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে এ বারই প্রথম ধর্মতলায় সমাবেশ করছেন মমতা। গত বার ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ ‘বিজয় দিবস’ হিসাবে ব্রিগেড ময়দানে করেছিল তৃণমূল। কিন্তু বৃষ্টিতে ব্রিগেডে সমাবেশ করা সমস্যা। তাই এ বার ফের ধর্মতলাতেই সমাবেশ হবে। এই সমাবেশকে ‘ঐতিহাসিক’ করতে ময়দানে নেমেছেন সাংসদ সুব্রত বক্সি, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্রের মতো রাজ্যের মন্ত্রী ও দলের শীর্ষ নেতারা। জেলা সফর করছেন নেতারা। সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে এ দিন তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে জরুরি বৈঠকও করেছেন মুকুলরা।
বৈঠকের পরে মুকুলবাবু জানান, সমাবেশ ‘সুশৃঙ্খল ভাবে’ করার জন্য রাজ্য নেতৃত্ব ও কর্মীদের ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমাবেশ উপলক্ষে কলকাতার ১৪১ ওয়ার্ডে ‘শহিদ স্মরণে’ তোরণ তৈরি করা হবে। দলনেত্রী মমতাও জেলা নেতৃত্বকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ‘সুশৃঙ্খল ভাবে’ মিছিলে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা যেখানে গিয়েছেন এবং বিভিন্ন জেলায় যে নেতা-কর্মীই তাঁর মুখোমুখি হয়েছেন, তাঁদের ওই সমাবেশে সকলকে নিয়ে হাজির হওয়ার কথা বলেছেন। তবে জেলা থেকে ট্রেনে যে নেতা ও কর্মীরা সমাবেশে আসবেন, তাঁদের ‘সতর্ক’ থাকতে বলেছেন মমতা। যেমন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের কোনও রকম অসুবিধা ঘটানো চলবে না। সমাবেশে দলীয় কর্মীদের ‘সুশৃঙ্খল ভাবে’ আসতে হবে বলে তৃণমূল নেত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। এই সূত্রে এ দিন মন্ত্রী মদনবাবু বলেন, “এ বার আমরা হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে সমাবেশের তিন দিন আগে থেকে শিবির করছি। দূর-দূরান্তের নেতা-কর্মীদের সমাবেশের দু-তিন দিন আগেই কলকাতায় চলে আসতে বলেছি। ট্রেনে ভিড় এড়াতে এবং সাধারণ যাত্রীদের কোনও সমস্যা যাতে না-হয়, সে দিকে লক্ষ্য রেখেই আগে কলকাতায় চলে আসার জন্য অনুরোধ করেছি।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.