খেলাধূলোর প্রতি টানটা তাঁর ছোট থেকেই। সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, স্কুলের প্রায় সব টিমেই তিনি ছিলেন অন্যতম সদস্য। স্বভাবতই, অলিম্পিক নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। তবে এ বারের অলিম্পিকটা তাঁর জন্য একে বারে অন্য রকম হবে, স্মরণীয় হয়ে থাকবে সারা জীবন। এমনটাই মনে করছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। কারণ এ বারে তিনি মহাকাশ থেকে দেখবেন অলিম্পিক। মহাকাশ পাড়ি দেওয়ার আগে এ কথাই বলে গেলেন উচ্ছ্বসিত সুনীতা। |
ভারতীয় সময় অনুযায়ী ঘড়িতে তখন আটটা বেজে দশ। কাজাখস্তানের বৈকানুর মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দিল সুনীতাদের রাশিয়ান রকেট সুয়েজ। এ বারের অভিযানে সুনীতার সঙ্গী য়ুরি ম্যালেনচেঙ্কো এবং আকিহিকো হোশিদে। মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছতে তাঁদের সময় লাগবে পাক্কা দু’দিন। তার পর টানা চার মাস সেখানেই থাকবেন সুনীতারা। তবে গত বারে একটানা ১৯৫ দিন মহাকাশে থাকার যে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি, সে কৃতিত্ব এ বারে অক্ষতই থাকছে। তিন অভিযাত্রীর জন্য মহাকাশ কেন্দ্রে অপেক্ষা করছেন আরও তিন জন। রাশিয়ান মহাকাশচারী জেনাডি পাডাল্কা, সের্গেই রেভিন এবং নাসার জো আকাবা। গত ১৭ মে থেকে তাঁরা সেখানে রয়েছেন। আগামী দু’মাস রাশিয়া-আমেরিকার যৌথ উদ্যোগে চলবে গবেষণা। ১৭ সেপ্টেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন আকাবা, পাডাল্কা, রেভিন। |
সুনীতাদের ফিরতে ফিরতে ১২ নভেম্বর। তাই এ বারে প্রেসিডেন্ট ভোটের সময়ও দেশে থাকা হবে না সুনীতার। তবে মহাকাশ থেকেই নিজের ভোট দেবেন তিনি। সুনীতা বলেন, “মহাকাশ থেকে ভোট দেওয়ার জন্য একটা বিশেষ ‘প্রোগ্রাম’ রয়েছে স্টেশনে। আমি ফ্লোরিডার নাগরিক। এ বারে মহাকাশ থেকেই ফ্লোরিডার জন্য ভোট দেব।”
তবে ভোট দেওয়ার চেয়েও মহাকাশ থেকে অলিম্পিক-দর্শন নিয়ে সম্ভবত বেশি উৎসাহী সুনীতা। এ দিন তিনি বলেন, “আমাদের মহাকাশ গবেষণা অনেকটা অলিম্পিকের মতোই। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের একটা প্রতিযোগিতা এবং বন্ধুত্বের বাতাবরণ।” |