যন্ত্রের মধ্যে শরীর ঢুকে গিয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ বর্ধমানের বড়শূলে একটি পাটের দড়ি তৈরির কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম চন্দ্রিকা পটেল (৫৫)। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ দেখান। দুপুরে মালিকপক্ষ, শ্রমিক সংগঠন ও শ্রম দফতরের মধ্যে একটি বৈঠকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত শ্রমিকের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের কোশিনগরের মকুয়া মাজামা গ্রামে। তিনি বড়শূলে কারখানার শ্রমিক আবাসনে একাই থাকতেন। কারখানার জেনারেল ম্যানেজার কৃষ্ণদেব শুক্ল বলেন, “ওই শ্রমিক সকালে কার্ডিং যন্ত্র পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন। নামার সময়েই মাথা ঘুরে তিনি যন্ত্রের উপরে পড়ে যান।’’ |
ওই কারখানার শ্রমিক তথা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্বনাথ মণ্ডল আবার বলেন, “কাজ করতে গিয়ে চন্দ্রিকার বাঁ হাত যন্ত্রে ঢুকে যায়। তার পরে তাঁর শরীরে জড়ানো গামছার টানে তিনি চলন্ত যন্ত্রের মধ্যে ঢুকে পড়েন।” তাঁর অভিযোগ, “এখানে যন্ত্রের সামনে কাজ করা শ্রমিকদের চামড়ার অ্যাপ্রন দেওয়ার কথা। কিন্তু আমরা বারবার দাবি জানিয়েও তা পাইনি।”
কারখানার গেটে দাঁড়িয়ে আইএনটিটিইউসি নেতা গোলাম জার্জিস বলেন, “শ্রমিকেরা এই কারখানায় নানা অব্যবস্থার শিকার। আমরা তাঁদের বেতন বৃদ্ধি, কাজের সময়ে উপযুক্ত নিরাপত্তা, প্রভিডেন্ড ফান্ড চালু করা-সহ নানা দাবিতে আন্দোলন করছি। ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হলে আমরা ঘটনাটির দিকে শ্রম দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।” কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অবশ্য শ্রমিক-কর্মীদের এ সব অভিযোগের কোনও সদুত্তর মেলেনি।
এই দুর্ঘটনার পরে এ দিন ওই কারখানায় আর কাজ হয়নি। তবে বৈঠকের পরে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানানো হলে শ্রমিকদের বিক্ষোভ থামে। |