বছর দু’য়েক ধরে থেকে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে গভীর নলকূপ। সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে জটিলতায় সেটিও বন্ধ। বিকল্প সেচ ব্যবস্থার অভাবে এলাকার প্রায় তিনশো বিঘা জমিতে চাষাবাদ মার খাচ্ছে বলে অভিযোগ মন্তেশ্বরের ইন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দাদের।
মন্তেশ্বরের বাঘাসন পঞ্চায়েতের এই ইন্দ্রপুর গ্রামে প্রায় দেড়শো পরিবারের বাস। ছোট এই গ্রামে বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকা চাষাবাদ ও পশুপালন। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গ্রামে যে তিনশো বিঘা জমি রয়েছে, সেটি বেশ উঁচু। ভারি বৃষ্টিতে মাঠে জল জমে না। গ্রামের আশপাশে নেই কোনও নদী বা খাল। ফলে জমা জল ধরে রেখে চাষ করার কোনও উপায় নেই। এই সমস্যা মেটাতে ১৯৯০ সালে গ্রামে একটি গভীর নলকূপ তৈরি হয়। চাষিদের দাবি, ২০১০ সালের শুরুতে সেই নলকূপের মোটর খারাপ হয়ে যায়। সেই বছর ৮ জুন গ্রামের মানুষজন সেচ দফতর ও ব্লক কার্যালয়ে গভীর নলকূপটি ফের চালুর দাবি জানিয়ে একটি গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি দেন। কিন্তু তার পরে দু’বছর পেরিয়ে গেলেও অকেজো নলকূপটি সারানো হয়নি বলে অভিযোগ। |
গ্রামবাসীরা জানান, নলূপটি অকেজো হওয়ার পরে তাঁরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ২০১০ সালেই একটি সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়েছিলেন। তার সরকারি অনুমোদনও মেলে। এই সাবমার্সিবলের বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয় গভীর নলকূপের সংযোগ থেকেই। কিন্তু ২০১১ সালে প্রশাসনের তরফে এই বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়। তার পর থেকে বিকল্প সেচের ভরসা সেই সাবমার্সিবল পাম্পটিও বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। ইন্দ্রপুরের বাসিন্দা সুকুমার ঘোষ, দীনবন্ধু ঘোষ, পিন্টু ঘোষেদের দাবি, জলের অভাবে পরপর দু’টি মরসুম চাষ করতে পারেননি তাঁরা। এ বারও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গভীর নলকূপ কমিটির সম্পাদক সুনীল ঘোষ বলেন, “গভীর নলকূপটিকে সারানোর জন্য গত মার্চে ফের প্রশাসনকে আবেদন জানানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ হয়নি।”
ইন্দ্রপুর গ্রামের সেচ ব্যবস্থার এমন হালের কথা জানা নেই বলে জানান কালনার মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি। তাঁর আশ্বাস, “এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বিডিও-র সঙ্গে কথা বলা হবে।” |