বহিরাগতদের এনে তৃণমূল এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছে অভিযোগ তুলে নির্বাচন শুরুর ঘণ্টাখানেক পরেই প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করে নিল সিপিএম। রবিবার ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার প্রতাপপুর কালিকাপুর তপোবন বিদ্যাপীঠের স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ঘটনাটি ঘটে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই এই স্কুলের পরিচালন সমিতি সিপিএমের দখলে ছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরেই এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। প্রশাসন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। এ দিন সকাল থেকেই স্কুল চত্বরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সিপিএমের অভিযোগ, ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের এজেন্টদের হুমকি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। শুরু হয় ছাপ্পা ভোট। তাদের আরও দাবি, দলের সমর্থক ভোটারদের বুথ-মুখো হতে দেয়নি তৃণমূল। প্রতিবাদে সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেন।
স্থানীয় সিপিএম নেতা তথা দুর্গাপুর-ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুব্রত পালের অভিযোগ, “দুর্গাপুর পুরসভার নির্বাচনের মতোই সামান্য একটি স্কুলের দখল নিতেও বহিরাগতদের আমদানি করে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছিল তৃণমূল।” তাঁর অভিযোগ, পান্ডবেশ্বর, কাঁকসা থেকে এই বহিরাগতদের নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁর কথায়, “নির্বাচনের পরিবেশ না থাকায় আমাদের প্রার্থীরা প্রথম ঘণ্টাতেই প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেন।”
তৃণমূলের অবশ্য পাল্টা দাবি, জনসমর্থন নেই বুঝতে পেরেই এ সব অভিযোগ তুলছে সিপিএম। দলের ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। স্কুলভোটে পরাজয়ের আশঙ্কাতেই প্রার্থীপদ তুলে নেয় সিপিএম। এলাকার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এত দিন গায়ের জোরে স্কুলে ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। |