জলপাইগুড়ি জেলা সংস্থার পক্ষ থেকে আইএফএকে জানানো হল যে তোড়লপাড়ায় আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টের মাঠে কোনও চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না। সেখানে কোনও অ্যাম্বুল্যান্সও ছিল না। প্রয়াত ফুটবলার মহেশ থাপার মৃত্যুর বিষয়ে একটি রিপোর্ট চেয়েছিল আইএফএ। শুক্রবার জলপাইগুড়ি ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ওই রিপোর্ট ফ্যাক্স মারফত আইএফএকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জলপাইগুড়ি জেলাশাসককেও একটি রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব অঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, “আইএফএ সচিব উপল গঙ্গোপাধ্যায় ফোন করে মহেশের মৃত্যুর বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তার পরে একটি রিপোর্ট পাঠাতে বলেন। আমরা রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি। রিপোর্টে জানানো হয় যে, জলপাইগুড়ি শহর থেকে দূরে তোড়লপাড়ায় গত ৮ জুলাই একটি খালি পায়ে দিনরাতের ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। টুর্নামেন্টটি সরকারি কিংবা সরকারি অনুমোদিত কোনও সংস্থার নথিভুক্ত নয়। সেখানে বিপক্ষ দলের গোলকিপারের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে মহেশ থাপার মৃত্যু হয়। সেখানে চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ। এমনকী, অ্যাম্বুল্যান্সের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। আমাদের ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভুক্ত রায়কতপাড়া স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশনের সে একজন খেলোয়াড় ছিল।” সে সাব জুনিয়ার এবং জুনিয়ার আন্তঃ জেলা ফুটবল প্রতিযোগিতায় জলপাইগুড়ি জেলার প্রতিনিধিত্ব করেছিল। ঘটনার পরে তাকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে এবং শহরের দুটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। দ্বিতীয় নার্সিং হোমে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই সে মারা যায়। রিপোর্টে লেখা হয় যে শহরের বাইরে এ ধরনের খালি পায়ে ফুটবল খেলার আয়োজন হয়েই থাকে। আমরা এই ধরনের ফুটবল খেলার কোন অনুমতি দিই না। সব শেষে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদকের সাফাই আমরা কোনভাবেই এই ধরনের ফুটবল টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকি না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে উপযুক্ত চিকিৎসার পরিষেবা এবং অ্যাম্বুল্যান্স না থাকলে টুর্নামেন্ট চালানোর অনুমতি দেব না।” |