টুকরো খবর
নিস্তব্ধতা ভাঙে উরস উৎসবে
মাজারে চাদর চড়াতে যাচ্ছেন ভক্তেরা। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত।
দুবরাজপুর স্টেশন থেকে মাত্র দেড় কিমি দূরে থাকা প্রচীন বট গাছটি সকলের নজরে পড়বে। পূর্ব রেলের অন্ডাল-সাঁইথিয়া রেলপথ ঘেঁষে থাকা ওই প্রচীন বটগাছ ও অন্যান্য গাছ-গাছালিতে ঘেরা জায়গাটিতেই রয়েছে সুফি সন্ত হজরত সৈয়দ শাহ আলম বাবার শতাব্দী প্রাচীন সমাধিস্থল বা মাজার। বছরের অন্য সময় জায়গাটিতে নিস্তব্ধতা বিরাজ করলেও আষাঢ় মাসের চতুর্থ শুক্রবার তার রূপ বদলে যায়। কারণ, প্রতি বছর এই দিনটিতে আলম বাবার উরস উৎসব উপলক্ষে বসে বিশাল মেলা। মাজারে প্রসাদ ও চাদর চড়াতে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ। সঙ্গে উপরি পাওনা মেলার মজা। এই মেলায় শুধু আশপাশের মানুষেরা আসেন না, জেলা ও জেলার বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ আসেন। একদিনের এই মেলায় বিভিন্ন জিনিসের প্রচুর স্টল, নাগরদোলা, খাবারের দোকানের পাশাপাশি রয়েছে বাউল ও ফকিরি গানের আসর জমানোর জন্য সাংস্কৃতিক মঞ্চ। তবে এ বারের বিশেষ আকর্ষণ আলম বাবার মাজারটিই। দুবরাজপুর পুরসভার উদ্যোগে যা এ বার নতুন আদল পেয়েছে। দুবরাজপুরের পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, “মোট ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আলমবাবার মাজারটি তৈরি করানো হয়েছে। জালাল শাহরা তিন ভাই ও এক ভগ্নীপতি বর্তমানে মাজারটির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন।” জালাল শা বললেন, “দাদু দায়েম শাহ-র আমল থেকে মাজারটির দেখভালের দায়িত্বে আমাদের পরিবারের হাতেই রয়েছে। বছরের অন্য সময়ও মানুষ বাবার মাজারে আসেন। তবে বছরভর এই দিনের অপেক্ষায় থাকি।” আপেক্ষায় থাকেন সকলেই। ভিড় এতটাই বেশি হয় এবং মানুষজন রেলপথের উপর দিয়ে যাতায়াত করায় ওই শাখায় চলাচলকারী ট্রেনের গতি খুব কমিয়ে দেওয়া হয়।

মুরগি বিলি নিয়ে ক্ষোভ মুরারইয়ে
সরকারি প্রকল্পের উন্নত প্রজাতির মুরগি ছানা বিলি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল। জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ ও উন্নয়ন দফতরের তরফে মুরারই ২ ব্লক অফিস থেকে শুক্রবার ওই মুরগি ছানা বিলি করা হয়। কিন্তু ওই বিলি নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কংগ্রেসের রুহিনা বিবি ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ ও উন্নয়ন কর্মাধ্যক্ষ মোবিনা বিবি। সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, “আমাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এ দিন মুরগি ছানা বিলি করা হয়। মন্ত্রী দলীয় (তৃণমূল) লোকেদের সরকারি প্রকল্পে মুরগি ছানা পাইয়ে দিয়েছেন।” ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ রাজ্যের মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরীর উপস্থিতিতে ১৭৬ জন উপভোক্তাকে উন্নত প্রজাতির মুরগি ছানা বিলি করা হয়। অভিযোগ প্রসঙ্গে মুরারই ২ ব্লকের প্রাণী সম্পদ আধিকারিক চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এ বিষয়ে যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবেন।” প্রাণী সম্পদ বিকাশ ও উন্নয়ন দফতরের জেলা উপ অধিকর্তা বাসুদেব মাইতি বলেন, “এটি অনেক দিন আগের স্কিম। জেলার সর্বত্র বিলির কাজ শেষ হলেও মুরারই ২ ব্লকেই একমাত্র বাকি ছিল। এ দিন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেই কাজই করা হয়।” ওই মুরগি ছানা বিলি নিয়ে অভিযোগ সম্পর্কে অবশ্য তাঁর মন্তব্য, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।” অন্য দিকে, মন্ত্রীর সঙ্গে বহুবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

উন্নয়নের দাবি
মুরারই ১ ব্লকের রাজগ্রাম, মহুরাপুর এই দুই পঞ্চায়েতের আদিবাসী গ্রামগুলিতে উন্নয়নের দাবিতে শুক্রবার মুরারই ১ ব্লক অফিসে বিডিওর কাছে স্মারকলিপি দিলেন জেলা আদিবাসী উন্নয়ন পষর্দের মুরারই শাখার সদস্যেরা। সংগঠনের অভিযোগ, ওই সব গ্রামে কোনও উন্নয়ন হয়নি। অধিকাংশ গ্রামেই আজও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি, রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় ওই সব গ্রাম দুর্গমও হয়ে পড়েছে। এমন কী বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতার মতো সরকারি প্রকল্পের সুবিধাও তাঁরা পান না বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, এলাকার অধিকাংশ আদিবাসীরই তফসিলির শংসাপত্র নেই। অনেকের রেশন কার্ড হয়নি বলেও তাঁরা জানিয়েছেন। যুগ্ম বিডিও অমরকুমার ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, “তাঁদের অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পেট্রোল পাম্পে ডাকাতি
গ্রাহক সেজে পেট্রোল পাম্প থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ডাকাতির অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুরারই-রাজগ্রাম রাস্তার উপর মুরারই নতুনবাজার এলাকার ওই পাম্পের ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায় ৭-৮ জনের ওই ডাকাত দল। পাশাপাশি এক পাম্পকর্মীর কাছ থেকেও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পাম্প মালিক মহম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, “ডাকাতদলকে বাধা দিতে গিয়ে আমাদের এক কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁকে ডাকাতেরা ভোজালি দিয়ে আঘাত করেছে। মোট ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা ডাকাতি হয়েছে।” পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে ধরতে পারেনি।

স্মারকলিপি
সারের দাম বৃদ্ধি, ভর্তুতি তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং সরকারি চাষিদের সার দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার সিউড়িতে কৃষি দফতরে সারা ভারত কৃষক খেতমজুর সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “স্থানীয় দাবিগুলি পূরণের চেষ্টা করা হবে। বাকি দাবিগুলি সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হবে।”

সিউড়িতে শিবির
পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের রিজিওনাল শাখার উদ্যোগে শুক্রবার একটি শিবিরের মাধ্যমে ৪০০ জন কৃষিজীবীকে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার কৃষান ক্রেডিট কার্ড এবং ৫১টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণ বাবদ ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পান্নালাল মিশ্র, জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা।

থানা ঘেরাও
এ দিন ১৫ দফা দাবিতে মহম্মদবাজার থানা ঘেরাও করে আদিবাসী গাঁওতা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.